আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটিতে ৯৩ নতুন সহসম্পাদক পদের ঘোষণা আসছে আগামী মাসের (নভেম্বর) যেকোনো দিন। এই তালিকায় নাম থাকাদের অধিকাংশই সাবেক ছাত্রনেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দুজন নেতা বিষয়টি জানিয়ে বলেন, এই তালিকা বেশ কিছুদিন আগেই প্রস্তুত হয়েছে। কিন্তু নেতাদের সমন্বয়হীনতার কারণে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত দলের ‘হাইকমান্ডের’ নির্দেশে তালিকাটি প্রকাশ হতে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫-এর ১-এর চ ধারা অনুযায়ী, ‘আওয়ামী লীগ প্রত্যেক সম্পাদকীয় বিভাগের কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল ও সমন্বিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি সম্পাদকীয় বিভাগের একটি করিয়া উপকমিটি গঠন করিবে। উক্ত উপকমিটি একজন চেয়ারম্যান, একজন সম্পাদক, অনূর্ধ্ব পাঁচজন সহসম্পাদক, প্রয়োজনীয়সংখ্যক বিশেষজ্ঞ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল বলেন, সহসম্পাদক বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট নেতারা নামের তালিকা জমা দিয়েছেন। এখন শেষ মুহূর্তের যাচাই-বাছাই চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই সহসম্পাদকদের নাম ঘোষণা করা হবে।
একই বিষয়ে দলটির আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, সহসম্পাদকদের সংখ্যা হবে অনূর্ধ্ব ১০০ জন। ১৯টি সম্পাদকীয় বিভাগে তিনজন করে ৫৭ জন, চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আট সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে আরো তিনজন করে ৩৬ জন সহসম্পাদক মনোনীত হবেন।
নাছিম আরো বলেন, উপকমিটির সহসম্পাদকদের বাছাই প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। দ্রুত তম সময়ের মধ্যেই এটি ঘোষণা করা হবে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের জেলা কমিটি এবং সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন পদে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সহসম্পাদক হতে পারবেন না। গত বছরের ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্য থেকে অনেকের নাম বাদ পড়ে। সে সময় যে অভিমান তৈরি হয়েছিল, তা ঘোচাতেই সহসম্পাদকের তালিকায় তাদের রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, সহসম্পাদকদের নামের খসড়া তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হবে। এবারের সহসম্পাদক মনোনয়নের বিষয়টি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেখভাল করছেন।