সিটিং সার্ভিসের দৌরাত্ম থেকে কিছুতেই মুক্তি মিলছেনা নগরীর লাখ লাখ বাস যাত্রীদের। গণপরিবহন বলা হলেও বেশির ভাগ বাসই নির্দিষ্ট স্টপেজ ও সিট ছাড়া যাত্রী না তোলায় ভোগান্তি বেড়েই চলেছে নগরবাসীর। একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও সমস্যার স্থায়ী কোন সমাধান করতে পারে নি বিআরটিএ’ও। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর উন্নত শহরের মতো নাগরিকদের সুবিধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত সিটিং সার্ভিস বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই।
রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত সড়কে প্রতিনিয়ত এভাবেই গেট বন্ধ করে সিটিং সার্ভিস হিসেবে চলছে বেশির ভাগ গণপরিবহন। অফিস শুরু ও ছুটির সময়ে যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও নির্দিষ্ট বাসে উঠতে পারছেন না মধ্যবর্তী স্টপেজের যাত্রীরা।
নগরবাসীর অভিযোগ, ঢাকার রাস্তায় এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় গণপরিবহন অনেক কম। তাই নির্দিষ্ট সিটের পাশাপাশি সব বাসে দাড়িয়ে যাত্রী নেয়ার নিয়ম করার দাবি তাদের।
নগরবাসী বলেন, ‘বাসের দরজা বন্ধ করে যাওয়ায় জনগণের ভোগান্তি। জনগণ বাস ছাড়া কিভাবে যাবে? সবার কি সিএনজি নেওয়ার মত ক্ষমতা আছে। প্রতিদিন আমাদের এই বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। মাধ পথ থেকে কোনো যাত্রী নিচ্ছে না।’
বিআরটিএ’র তথ্যানুযায়ী, ঢাকায় প্রায় পৌনে ১২ লাখ রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি থাকলেও ১৬৭টি রুটের জন্য গণপরিবহন সাড়ে ৫ হাজারেরও কম। ফলে গড় হিসেবে দেখা যায়, ঢাকার রাস্তায় প্রায় ২ হাজার যাত্রীর জন্য বাস আছে মাত্র ১টি করে।
এসব বিবেচনায় গত এপ্রিলে সিটিং সার্ভিস বন্ধের নির্দেশ দিলেও পরিবহন শ্রমিকদের অসহযোগিতায় তা স্থগিত করতে বাধ্য হয় সরকার। তবে বিআরটিএ বলছে, সিটিং বাস বন্ধের বিষয়ে এ মাসেই একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের নীতি নির্ধারকরাই পরিবহন মালিক হওয়ায় সরকার সিটিং বাস বন্ধ করতে পারছে না।