অনলাইন ডেস্ক : ‘নিষিদ্ধ খাবার পরিবেশন করায় এক নারীকে শত শত মানুষের সামনে ধর্ষণ করার পর হত্যা করেছে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি দল। কঙ্গোর লুয়েবো শহরে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪-এর খবরে বলা হয়, ‘কামুইনা নেসাপু’ নামে ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও কঙ্গোর সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক দিন ধরেই সংঘাত চলে আসছে। সম্প্রতি একটি রেস্তোরাঁর মালিক ওই নারী বিদ্রোহীদের একটি বন্দুকধারী দলকে খাবারে মাছ পরিবেশন করেন। এরপরই তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়।
গত বছর লুয়েবো শহরের দখল নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। শহরটির জনসংখ্যা ৪০ হাজার। সেখানে মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন খাবার নিষিদ্ধ করা হয়।
খবরে বলা হয়, খাবার পরিবেশনের সময় ওই নারীর সঙ্গে তাঁর সৎ ছেলে ছিল। বন্দুকধারীর দল তাকে সবার সামনে ওই নারীকে ধর্ষণ করতে বাধ্য করে। পরে দুজনকেই হত্যা করা হয়। এরপর বিদ্রোহীদের অনেকেই ওই মা-ছেলের রক্ত পান করে।
এ বিষয়ে শহরের একজন বাসিন্দা জানান, ওই নারী বিদ্রোহীদের শিমের সঙ্গে ছোট মাছের টুকরা রান্না করে খেতে দিয়েছিলেন। এ অভিযোগ এনেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁদের ঘটনাস্থলে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। তাঁরা বিদ্রোহীদের কাছে অসহায়। কয়েক সপ্তাহ আগে পুলিশও ওই শহর ছেড়ে চলে যায়। লাশ দুটি খোলা আকাশের নিচে দুদিন পড়ে ছিল। পরে সেগুলো কবর দেওয়া হয়।