যশোরে ’গণপিটুনিতে’ আহত কামরুল হাসান (২২) নামের আরও এক শিবির কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে গুরুতর আহত এই শিবির কর্মীকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান তিনি। কামরুল সরকারি এমএম কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বাঘারপাড়া উপজেলার ছোট খুদরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় হাবিবুল্লাহ (২২) নামের এক শিবির কর্মী ‘গণপিটুনিতে’ নিহত হন। নিহত হাবিবুল্লাহ যশোরের শার্শা উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে ও সরকারি এমএম কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাছ আলী জানান, সোমবার রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে গোয়ালন্দঘাটে পৌঁছলে কামরুলের মৃত্যু হয়। পরে তার লাশ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।সোমবার বিকেল ৫টার দিকে সরকারি এমএম কলেজ আসাদ হল ও রেলগেট এলাকায় ‘গণপিটুনির’ ঘটনা ঘটে। আহত আরও একজন মাগুরার শালিখা উপজেলার আতিয়ার রহমানের ছেলে আল-মামুন (২২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাছ আলী আরও জানান, সোমবার বিকেলে এমএম কলেজ এলাকার একটি ছাত্রাবাসে এই শিবির কর্মীরা ‘গোপন’ বৈঠক করছিল। এ খবর পেয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সাধারণ ছাত্ররা তাদেরকে ‘গণপিটুনি’ দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তিনজনকেই আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সন্ধ্যায় আহতদের মধ্যে হাবিবুল্লাহ মারা যায়। এর আগে তাদের ছাত্রবাসের পেছন থেকে একটি হাতবোমা ও বেশকিছু জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, আহত দুজনকে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ‘গণপিটুনিতে’ নিহত ও আহত ৩ শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
‘গণপিটুনিতে’ আহত আরেক শিবির কর্মীর মৃত্যু
Share!