আজ ২৪ নভেম্বর। ২০১২ সালের এই দিনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন গার্মেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১২ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এই ট্রাজেডিকে হৃদয় থেকে ভুলতে পারেনি অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবার। নিহতদের পরিবার ভোগ করছে স্বজন হারানোর বেদনা। পঙ্গু সদস্যদের নিয়ে নিদারুণ কষ্টে আছে তাদের পরিবার। এদিকে তাজরীন ট্রাজেডির তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার সকালে নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও আহতসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাজরীন গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের সব ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিককে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ ও মালিক দেলোয়ার হোসেনের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। দিবসটি উপলক্ষে শ্রমিক হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি আজ একটি র্যালি করে তাজরীন গার্মেন্টের মূল ফটকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করবে। র্যালি শেষে প্রতিবাদ সভা হবে। সোমবার তাজরীনের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন হাত-পা ও মেরুদণ্ডের গুরুতর আঘাতে পঙ্গুত্ববরণকারী বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তারা জানান, পরিবারে সচ্ছলতা আনতেই আমরা তাজরীনে এসেছিলাম।কিন্তু সেদিনের দুর্ঘটনায় তাদের সব শেষ হয়ে গেছে। চিকিৎসা জমিজমা, বাড়িঘর বিক্রি করেছি। সরকার ও বিজিএমইর পক্ষ থেকে তেমন কোনো সাহায্য পাননি তারা। তারা আরও জানান, বিশেষ ব্যক্তিদের সীমিত দানই হচ্ছে তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।জানুয়ারি থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ : তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার এবং আহত কর্মীদের জানুয়ারি মাস থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু হবে। তাজরীন ক্লেইমস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রাস্টের মাধ্যমে এ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। এপ্রিলের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেয়া শেষ হবে।
তাজরীন ট্রাজেডির ৩ বছর আজ
Share!