বাংলাদেশ শুরুতেই বিপর্যয়ে
জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ৪২৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেই লক্ষ্য পার করতে গিয়ে শুরুতেই জোড়া হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। স্কোরে কোনো রান না উঠতেই দুই উইকেটে হারিয়ে বসেছে মুশফিকের দল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৬/২। তামিম ও মুমিনুল কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। ইমরুল কায়েস চার রানে ব্যাটিং করছেন। অপরপ্রান্তে ব্যাটিং করছেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৪৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৪২৪ রান। প্রোটিয়াদের আজ কম রানের মধ্যে আটকানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন টাইগার বোলাররা। সেই লক্ষ্যেই চতুর্থ দিনটা শুরু করে মুশফিক বাহিনী। চতুর্থ দিনের শুরুতেই প্রোটিয়া ব্যাটিং স্তম্ভ হাশিম আমলাকে ফিরিয়েছেন কাটার মাস্টার। এরপর টিম্বা বিভুমাকেও ফেরাতে পারতেন শফিউল। তবে ব্যাওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ ছেড়েছেন ইমরুল কায়েস। আঙুলে ব্যথা পেয়ে মাঠও ছেড়েছেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৪২ রান যোগ করে বাংলাদেশকে খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছেন ফাফ ডু প্লেসিস ও টিম্বা বাভুমা। তবে ডু প্লেসিসকে সেঞ্চুরি পেতে দেননি মুমিনুল হক। ব্যক্তিগত ৮১ রানে প্রোটিয়া অধিনায়ককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজের কিছু পর পচেফস্ট্রুমের আকাশ কালো করে নামে বৃষ্টি। জোর বৃষ্টির কারণে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়। বৃষ্টির পর টপাটপ দুটি উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। টিম্বা বাভুমা ও কুন্টন ডি কককে ফেরান এই ম্যাচে বোলার হয়ে ওঠা মুমিনুল হক। শেষ পর্যন্ত ২৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২৪ রানের। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মমিনুল তিনটি ও মুস্তাফিজ নেন দুটি উইকেট। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯৬ রানের জবাবে ৩২০ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।