“এক সংবাদ সম্মেলনে শফিউল আলম ভূঁইয়া এ কথা বলেন”
‘নতুন ডিন নিয়োগ ঢাবির রেওয়াজ পরিপন্থী’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নতুন ভারপ্রাপ্ত ডিন নিয়োগের সিদ্ধান্তটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও রেওয়াজ পরিপন্থী এবং ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করেন অনুষদটির বর্তমান ডিন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া। শুক্রবার ঢাবি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শফিউল আলম ভূঁইয়া এ কথা বলেন। গত বুধবার রাতে এক সিন্ডিকেট সভায় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমকে অনুষদটির নতুন ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘ঢাবির ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী অনধিক ৯০ দিনের মধ্যে ডিন নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি না করে আমাকে সরিয়ে অধ্যাপক সাদেকা হালিমকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, অধ্যাদেশ ও ঐতিহ্যের বিরোধী। শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘এটা না করে যদি আমাকে পুনরায় এই পদে রাখা হতো তাহলে সেটাও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের বিরোধী হতো। সংবাদ সম্মেলনে শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানিয়েছি যে, তিন মাস পূর্ণ হতে আর বেশিদিন নেই। তাই হয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন, অন্যথায় ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাকে ডিন হিসেবে কন্টিনিউ করুন। তবে এরপর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। কেন এমন করল, আমি তা জানতে চাই।’ এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অনেক সিনিয়র নেতা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও বিভাগের চেয়ারম্যান পদে আছেন। প্রভোস্টের দায়িত্বে আছেন, যা অধ্যাদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত নিয়োগ পাওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে ডিন নির্বাচিত হবে। কিন্তু আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর আমার হাতে মাত্র ১৪ দিন সময় ছিল যা ডিন নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি ৯০ দিন ডিনের দায়িত্বে ছিলেন, যার এক ভাগও আমার দায়িত্বকালীন না। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালযের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ ২৪(এল) অনুসারে বিষয়টি সিন্ডিকেটে তুলেছি। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।