রহস্য ! জামালপুরের মেয়র শ্রীমঙ্গলে উদ্ধার
রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজের পর জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামান রুকনকে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের একটি চা বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট এলাকার একটি চা বাগানে রুকনকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। নিখোঁজের বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক বিষয়টি জানিয়েছেন। সরিষবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদ এ জেড মুর্শেদ আলী জানান, শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট এলাকার একটি চা বাগানে হাত-পা বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় মেয়র রুকনকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁর পরনে কালো পাঞ্জাবি ছিল। ওইএলাকায় মহড়ারত সেনাবাহিনীর একটি টহল দল রুকনকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গলের ইউএনও মো. মোবাচ্ছের হোসেন পুলিশ নিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর বিষয়টি সরিষাবাড়ীর ইউএনওকে জানানো হয়। ফেসবুকের মেসেঞ্জারে পাঠানো ছবি দেখে সরিষাবাড়ীর ইউএনও মেয়র রুকনকে উদ্ধারের ঘটনা নিশ্চিত করেন। গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার পশ্চিম থানা এলাকার ১০ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম রোডের ৬০ নম্বর বাসা থেকে বের হয়ে যান মেয়র রুকুনুজ্জামান। এর পর তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার রুকনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম টুকন বলেন, ‘রুকন ব্যবসায়িক কাজে বিভিন্ন সময়ে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় তিনি উত্তরার ওই ভাড়া করা বাসাতেই থাকেন। গতকাল সকালে রুকন বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুরে তাঁকে ২০ থেকে ২৫ বার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। এর পর পরই তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সারাদিন খোজাখুঁজির পর সোমবার রাত ৯টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
নিখোঁজের আগের দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে রুকন ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, “তোমাদের এই ভালোবাসা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না। তোমাদের এই ভালোবাসার কাছে মনে হয় আমি হেরে গেলাম, কারণ আমি তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না। তার পরেও বলতে চাই ‘ভালোবাসি ভালোবাসি’। এই ভলোবাসা নিয়েই সবকিছু জয় করতে চাই এবং এই ভালোবাসা নিয়েই মরতে চাই। নতুন প্রজন্মের কাছে আমার আহ্বান যে আমাকে হত্যা করা হলেও তোমাদের সিক্ত ভালোবাসা যেন অটুট থাকে এবং আমার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তোমরা ধরে রাখবা।
এদিকে মেয়রের রুকনের জীবিত উদ্ধারের খবরে স্বস্তি ফিরে এসেছে সরিষাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে। এর আগে আজ সকালে তাঁকে উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছিল।
Share!