জনতা ব্যাংকের ৩১ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’, ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক: জনতা ব্যাংকের ৩১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চৌধুরী টাওয়েল কোম্পানির এমডি তানভীর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে ধানমণ্ডির সেন্ট্রাল রোডে চৌধুরী টাওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের কার্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আজ সন্ধায় বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পল্টন থানায় দুদকের দায়ের করা ৪টি (মামলা নং ১০, ১১, ১২ ও ১৩) মামলায় আজ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১নং মামলায় আসামির বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে ‘মেসার্স মীর এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন দেখিয়ে আট কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৮৫ টাকা উঠিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২১টি ভুয়া বিলের লেনদেন দেখিয়ে এই অর্থ উঠানো হয়েছে। এ লেনদেনে জনতা ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখার কর্মকর্তাদের পারস্পরিক যোগসাজশ ও অসৎ উদ্দেশ্য আছে বলেও দুদকের মামলায় লিপিবদ্ধ আছে। ১০ নং মামলায়, ৫৭টি ভুয়া ‘ব্যাক টু ব্যাক এলসি’র লেনদেন দেখিয়ে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ৬০৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ১২ নং মামলায়, ছয়টি ভুয়া ‘ব্যাক টু ব্যাক এলসির লেনদেন দেখিয়ে এক কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ১৩ নং মামলায়, তিনটি ভুয়া ‘ব্যাক টু ব্যাক এলসি’র লেনদেন দেখিয়ে এক কোটি পাঁচ লাখ ২০ হাজার ৭৫২ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অর্থাৎ গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে চারটি মামলায় মোট ৩০ কোটি ৬০ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আরো জানান, দুদক ঢাকার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের তত্ত্বাবধানে সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার আসামীকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তাকৃত তানভীর চৌধুরী বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে দুদক।