Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

মৃত নবজাতককে আইসিইউতে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

মৃত নবজাতককে আইসিইউতে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

এ,কে,এম শফিকুল ইসলামঃ  মৃত নবজাতককে আইসিইউতে ফেলে রেখে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ধানমন্ডি জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। স্বজনদের দাবি, মৃত জেনেও শুধুমাত্র অর্থের লোভে ধানমন্ডি জেনারেল এন্ড কিডনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিনদিন ধরে শিশুটিকে চিকিৎসার নামে অক্সিজেন দিয়ে রেখেছিলো। পরে সরকারি শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি তিনদিন আগেই মারা গেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক। জন্মের পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ায় নবজাতক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৯শে সেপ্টেম্বর নেয়া হয় ধানমন্ডি জেনারেল এন্ড কিডনি হাসপাতালে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ার কথা জানিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চিকিৎসরা শিশুটিকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রেখে অক্সিজেন দিয়ে রাখেন বলে জানান শিশুটির স্বজনরা। স্বজনদের দাবি, চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রথম দুই দিনে তারা হাসপাতালে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন। পাশাপাশি ওষুধও কিনেছেন কয়েক হাজার টাকার। এতেও কোন উন্নতি না হওয়ায় স্বজনরা রোববার সকালে শিশুটিকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, নবজাতক শিশুটি তিনদিন আগেই মারা গেছে। পরে মৃত শিশুটিকে নিয়ে স্বজনরা ফের ধানমন্ডি জেনারেল হাসপাতালে এলে তাদের একদিনের চিকিৎসা খরচ ফেরত দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাচ্চার অভিভাবক জানান, ২২ তারিখে আমরা ৫৪ হাজার টাকা দিয়েছি। আমরা বাচ্চাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে চাইলে তারা বলে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে নিতে হবে নতুবা বাচ্চা মারা যাবে। তিন দিন ধরে  বলছে বাচ্চা জীবিত আছে। কিন্তু আজ জানাচ্ছে বাচ্চা দুই-তিন দিন আগেই মারা গেছে। এসময় ক্ষুব্ধ স্বজন ও অন্যান্য রোগীদের তোপের মুখে পড়েন হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ক্যামেরার সামনে হাসপাতালের কেউ কথা বলতে রাজি হন নি। তবে টেলিফোনে চিকিৎসকদের ইনচার্জ ডা. রাকিবুল হাসান দাবি করেন, তিনদিন আগে শিশুটির মৃত্যুর বিষয়ে শিশু হাসপাতালের দেয়া রিপোর্ট সঠিক নয়। তিনি বলেন, পোস্ট মার্টেম ছাড়া কেউই বলতে পারবে না বাচ্চা ঠিক কখন মারা গেছে। এর আগেও হাসপাতালটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিলো বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top