প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচারের সাহস কোথায় পায় : রিজভী
এ,কে,এম শফিকুল ইসলামঃ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন মহল অপপ্রচারের সাহস কোথা থেকে পায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই প্রশ্ন করেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ১৮ ডটকমের গত শনিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে যে কায়দায় হত্যা করা হয়েছিল, একই প্রক্রিয়ায় দেহরক্ষী দিয়ে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে প্রধান মন্ত্রীর অনুগত ব্যক্তি ও শীর্ষ সন্ত্রাস প্রতিরোধ কর্মকর্তারা চার সপ্তাহ আগে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের একদিন পর গতকাল রোববার সচিবালয়ে শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু হত্যাচেষ্টার এই খবরকে ‘ভুয়া’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে যে ব্যর্থতা, তা ঢাকার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এখানে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র জড়িত। এই দেশের প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচার কীভাবে করে? ওরা কারা? কিসের ভিত্তিতে বলছে? এত সাহস পায় কোথা থেকে?’
‘বাংলাদেশ যদি একটা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হয়ে থাকে, সেই দেশের প্রধান মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কীভাবে অপপ্রচার করতে পারে?’
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, “সরকার ও সরকারের বন্ধুরা জড়িত কি না, আমরা জানি না। বিদেশের এক সাংবাদিক এত তোড়জোড় করছে, সব কিছুই মনে হচ্ছে একটা যৌথ প্রযোজনায় হচ্ছে। বাংলাদেশের একটি চ্যানেল কীভাবে প্রশ্রয় দিয়ে এই ‘অপপ্রচার’ প্রচার করে।”
প্রধান মন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভয়েস অব আমেরিকাকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জাতির পিতার হত্যার পর নির্বাচন নিয়ে প্রহসন হয়েছে। আজ নির্বাচন যথাযথ হচ্ছে, সুষ্ঠু হচ্ছে, তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটা তাঁর অবদান, আজ মানুষ পছন্দমতো ভোট দিতে পারছে।’
‘এহেন বক্তব্যে আমরা বাক্যহারা। প্রধান মন্ত্রীকে বলতে চাই তাহলে বাকশাল নামক জিনিসটা কী? সংজ্ঞা কী? তাহলে গণতন্ত্রকে কে হত্যা করেছে? শেখ হাসিনার সংজ্ঞা অনুযায়ী গণতন্ত্র হচ্ছে, একক দল দেশ চালাবে। এই হচ্ছে শেখ হাসিনার গণতন্ত্র! তাঁর সংজ্ঞার সঙ্গে একমত পোষণকারীদের তিনি জনগণ বলে মনে করেন, দ্বিমত পোষণকারীদের নয়।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে সরকারের তৎপরতা দৃশ্যমান হলো না। সেখানে প্রসূতি নারী ও গর্ভবতীদের খুব নাজুক পরিস্থিতি। তারা বাঁচুক-মরুক, তা সরকারের দেখার বিষয় নয়। এই সরকার বিদ্যুতের দাম যে হারে বাড়াচ্ছে, তাতে শিল্প কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। গণবিরোধী ভোটারবিহীন সরকার বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করছে, আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।’
সাংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।