সেনাবাহিনী ও স্থানীয় মগদের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে ভারতের সীমান্তে মরিচগুঁড়া ও স্টান গ্রেনেড’ ছোড়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা ঠেকাতে বাংলাদেশ সংলগ্ন পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে ভারত এমন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এমনকি নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নির্মমভাবে ঠেকানোর ক্ষমতাও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ব্যবহারে শরীরে জ্বালাপোড়া হয়। আর স্টান গ্রেনেড ছুড়লে প্রচণ্ড শব্দ ও আলোর ঝলকানি সৃষ্টি হয়। এতে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয় এবং অনেক সময় সাময়িকভাবে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএফের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা তাদের গ্রেপ্তার কিংবা গুরুতর জখম করতে চাই না। তবে ভারতের মাটিতে রোহিঙ্গাদের সহ্য করা হবে না। ‘
তিনি বলেন, ‘ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা কয়েকশ রোহিঙ্গাকে তাড়িয়ে দিতে আমরা মরিচের গুঁড়াযুক্ত গ্রেনেড ব্যবহার করছি… পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। ‘
এ ব্যাপারে বিএসএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পিআরএস জসওয়াল জানিয়েছেন, রোহিঙ্গদের ঠেকাতে নিরাপত্তারক্ষীদের মরিচের গুঁড়াযুক্ত গ্রেনেড ও স্টান গ্রেনেড দুইটিই ব্যবহার করতে বলা আছে।
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের একটি বিশাল অংশের দায়িত্বে তিনি।জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত চার সপ্তাহে ৪ লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। আর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতেও মরিয়া হয়ে আছে কয়েকশ রোহিঙ্গা।