এবারের ভয়াবহ বন্যায় কুড়িগ্রামে ৩৫ হাজার হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাড়ে ৩ লাখ কৃষক। তারপরও দমে যাননি তারা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারো ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আমন আবাদে। ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা।
মধ্য জুলাইয়ের প্রথম দফা বন্যার পর কিছুটা নিশ্চিন্তে আমন চারা রোপণ করেছিলেন কুড়িগ্রামের কৃষকরা। জেলায় সাড়ে ৮২ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হলেও এ সময় কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ করেছিলেন প্রায় এক লাখ হেক্টর জমিতে।
কিন্তু আগস্টে আবার ১২ দিন স্থায়ী ভয়াবহ বন্যায় ৯ উপজেলার ৬০টি ইউনিয়ন এবং ২ পৌরসভার ৮ শতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। সে সাথে তলিয়ে যায় ৩৫ হাজার হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত। তারপরও দমে যাননি কৃষকরা।
এদিকে বন্যার পানি সরে যাওয়ার সাথে আবারো আমন আবাদে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আর্থিক ও চারার সংকট মোকাবিলা করে কঠোর পরিশ্রম করে চারা রোপণ করছেন তারা। ফলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ শেষ হয়েছে।
এদিকে জলাবদ্ধতার কারণে পতিত থাকা জমিতে আসন্ন রবি মৌসুমে আগাম গম, ভুট্টা, চিনাবাদাম, আলু ও সরিষা আবাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর উপ-পরিচালক মোঃ মকবুল হোসেন।
আসন্ন রবি মৌসুমে সাড়ে ২৫ হাজার কৃষককে ৮টি ফসলের বীজ ও সার সহায়তা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।