কক্সবাজার ও আশপাশে যেসব স্থানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়ের জন্য পাহাড় কাটা হয়েছে, সে ক্ষতি আর কখনোই পূরণ হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে এসব এলাকায় পাহাড় ধ্স ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে পর্যটকরাও মুখ ফিরিয়ে নেবে বলে আশঙ্কা পরিবেশ ও পর্যটক বিশ্লেষকদের। গত কয়েকদিনে কোথাও কোথাও পাহাড়ের উচ্চতা নেমে এসেছে রাস্তার ধারে। পাহাড় কাটার কারণে আর বন উজাড়ে বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে এসব এলাকা। শুধু তাই নয়, যেসব এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আগে থেকেই আশ্রয়ে আছেন সেখান থেকে দৃষ্টির সীমানায় এখন আর পাহাড় দেখা যায় না।
স্থানীয় পরিবেশ ও পর্যটক বিশ্লেষকরা বলছেন, পর্যটন এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থী অধ্যুষিত হয়ে পড়ায় এমনিতেই নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেবে ভবিষ্যতে। এছাড়া এখানকার প্রকৃতি হারাবে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। এছাড়া বিপুল পরিমাণ শরণার্থীর কারণে এসব এলাকায় পর্যটকের পদচারণা কমে আসবে। যার প্রভাবে এই এলাকায় পর্যটন শিল্পের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়তে পারে বলেও আশংকা তাদের
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পাহাড়- সমুদ্রের সম্মিলন আর নৈসর্গিক দৃশ্য পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কারণ। কিন্তু উঁচু নিচু পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে এখন আর নিসর্গের উপাদান নেই বললেই চলে । কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানায়, গত কয়েক সপ্তাহে যে ক্ষতি হয়েছে তা আর কখনোই পূরণ হবে না।তবে বাকি পাহাড়গুলো রক্ষা করতে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার সাথে সাথে স্থানীয় প্রশাসনগুলোতে লোকবল বাড়ানো ও সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা