ভারত থেকে প্রচুর আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও ধানের জেলা দিনাজপুর অঞ্চলে বেড়েই চলেছে চালের দাম। বাজারে অব্যাহতভাবে চালের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে মিল মালিকদের কারসাজি ও সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর মিল মালিকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি ও আমদানি নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে চালের দাম। পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ বাজারে চালের দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করেন দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাওছার আলী । এদিকে মিল মালিকদের ইচ্ছামত দাম বৃদ্ধি করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তারা মিলগুলোতে চাল কিনতে গিয়ে প্রচুর মজুদ লক্ষ্য করেছে। ধান ক্রয় ও উৎপাদন খরচ ধরেও প্রতি কেজি চাল প্রায় ২০ টাকা বেশী দরে বিক্রি করছে মিল মালিকরা। জানা যায়, দিনাজপুরের মিল গুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চালের দাম ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা বৃদ্ধি করেছে মিল মালিকরা।
সরকার চালের আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করায় হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে চাল বাংলাদেশে আসছে। সরকারী সহায়তার অপেক্ষায় না থেকে কৃষকরা নিজস্ব উদ্যোগে আমন চারা রোপণ করেছে। ঋণ করে হলেও কৃষকরা আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আমন চারা বেশী দামে কিনেছেন। এদিকে চাহিদার তুলনায় বিএডিসির সরবরাহকৃত চারা নগণ্য। বন্যায় সরকারী হিসেবে ৩৫ হাজার হেক্টর জমির আমন নষ্ট হলেও বেসরকারি হিসেবে অনেক বেশী।