স্বাধীনতার সাতচল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সমন্বয়হীনতায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। এজন্য একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়ন হলেই সমতা আসবে। তবে শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আর বাজেট স্বল্পতাকেই দুষছেন শিক্ষাবিদরা। তবে শিগগিরই দেশের সব শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্লেষণে দেখা যায় চারটি ভাগে বিভক্ত সাধারণ শিক্ষা, ধর্মভিত্তিক বা মাদ্রাসা শিক্ষা, ইংরেজি মাধ্যম ও কারিগরি শিক্ষা। এর মধ্যে আবার সাধারণ শিক্ষার দুটি ভাগ। বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন। আবার মাদ্রাসা শিক্ষার মধ্যে রয়েছে আলিয়া ও কওমি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চার ভাগের মধ্যে কোন সমন্বয় না থাকার কারণেই বিশৃঙ্খলতা বিরাজ করছে শিক্ষা ব্যবস্থায়।
বিশেষজ্ঞরা, ‘বিশ্বে শিক্ষার সাথে প্রতিযোগিতা করার মত একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের দেশে হচ্ছে না। যে বিভাগেই ড়পুক না কেনো সব কিছুতে একটা যোগ সূত্র থাকতে হবে। কিছু কমন বিষয় সবাইকে জানতে হবে।’
এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা আর বাজেট ঘাটতিকেই দায়ী করছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা আবারো বলেন, ‘সুপারিশ করা হয় দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষায় বিনিয়োগ করা হোক। কিন্তু আমরা তা করতে পারছি না। আমরা এখনও আড়াই শতাংশে অবস্থান করছি। শিক্ষা নীতির মূল হচ্ছে সকল সন্তান একই ধরণের শিক্ষা পাবে। যেহেতু এটা হচ্ছে না তার কারণ হচ্ছে রাজনীতি।’
শিক্ষা ব্যবস্থার এই অসমতা দূর করতে শিক্ষানীতি ২০১০ ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রী বলছেন সকল মাধ্যমকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আনা হবে। এটি
শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষার লক্ষ্য আজকে বাস্তবায়ন করা হলো আর কালকে হয় গেলো এমনটা না। একটা নীতি অনুসরণ করে চলতে হবে বহুকাল ধরে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
পাশাপাশি নানা সীমাবদ্ধতা শর্তেও বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ক্রমেই বাড়ছে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রী।