সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ায় বগুড়ায় তেরো’শ চাউলকল মালিককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে খাদ্য বিভাগ। আর যারা চুক্তি করে চাল সরবরাহ করেননি তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। মিল মালিকরা বলছেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় সরকারকে চাল দিতে পারেননি তারা।
বিশ্লেষকের মতে, এবার চাল সংগ্রহ অভিযান সফল না হওয়ায় ঘাটতি মেটাতে দ্রুত চাল আমদানি এবং মজুদদারদের বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়ানো দরকার।
বগুড়ার চাউলকল মালিকদের দাবি, চলতি বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরুর সময় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য ২ থেকে ৪ টাকা বেশি ছিল। এছাড়া সরকার যে মোটা চাল সংগ্রহ করছে তার উৎপাদন কমে গেছে এ এলাকায়। তাই ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও লোকসান দিয়ে চাল দিতে পারেননি তারা।
চাউলকলের মালিকেরা বলেন, কৃষকরা কমদামী ধান আর আবাদ করতে চায় না, এখন সরু ধানের ওপর ঝুঁকি বেশি। এর দাম অনেক বেশি । যার জন্য অনেক ফলন কমে গেছে।
বগুড়া অধ্যাপক অর্থনীতি বিভাগ সরকারি আজিজুল হক কলেজ ড. নূরে আলম জিকু বলেন, তিন মাসেই হাওয়া ঢুকেছে। তখন জানে যে দেশের ২০% প্রডাকশন ওখান থেকেই আসে, সেই ২০% সে আগেই আমদানি করে রাখতে পারতো। তবে ডিসকভার করার জন্য তাকে তদারকি করা লাগবে।
বাজারে চালের সংকট এবং মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সময়মত চাল আমদানি না করা এবং বাজার মনিটরিং এর অভাবকে দুষছেন এই অর্থনীতিবিদ।
জেলায় চালের মজুদ সন্তোষজনক উল্লেখ করে এ মৌসুমে প্রায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের কথা জানান খাদ্য কর্মকর্তা।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, আমাদের ১৯০০ চালকল আছে, এরমধ্য ৭০০ চালকল মিল আমাদের সাথে চুক্তি করেছে। এই ৭০০ মিলের মধ্য আমরা আশা করছি সব চাল পেয়ে যাব।
বগুড়ায় এবার চল সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার মেট্রিক টন। তবে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ২৬ হাজার মেট্রিক টন। জেলার ২ হাজার চাউলকল মালিকের মধ্যে সরকারের সাথে চাল প্রদানের চুক্তি করেছেন মাত্র ৭শ মিলার।