নিজ দেশে নির্যাতনের শিকার, সাথে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে বাংলাদেশে আসেছে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা। নারী-পুরুষ কিংবা শিশু কেউই রেহায় পায়নি মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতন থেকে।
‘আমার সমান মেয়ে, যারা দেখতে সুন্দর তারা বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পরে গুলি করে মেরেছে।’ বলছিলেন এক রোহিঙ্গা শিশু।
সেনাদের নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা আরেক রোহিঙ্গা বলেন, ‘সেনারা রাতে গ্রামগুলোতে যায়, মেয়েদের নিয়ে নির্যাতন করে। পরে মেরে ফেলে।’ তার পরিবারের সবাই আসতে পেরেছেন কিনা জানতে চাইলে সময় নিউজকে তিনি বলেন, ‘পারি নি, দুই জন মারা গেছে।’
শিশু তোহায়া দেখেছে তার খেলার সাথীদের ওপর নির্যাতন আর হত্যা। মোহাম্মদ আলী দেখেছে নিজের সামনে ঘরের দুই সদস্যের মৃত্যু আর গ্রামের মেয়েদের ওপর মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতন। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে লাশের স্তূপ পেরিয়ে যখন বাংলাদেশে তখনও নিজ দেশে এমন অমানবিক নির্যাতনের অভিজ্ঞতা প্রত্যেক শরণার্থীর।
‘আমার ছেলে-মেয়ে, মা-বাবাকে মেরে ফেলেছে। আমি একা বেঁচে আছি।’ বলছিলেন এক রোহিঙ্গা।
নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে আরেক জন বলেন, ‘আমাদের মা বোনদের মেরে পুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে। একসাথে সব নারীদের একসাথে রেখে জবাই করে সেনারা। ছেলেদের প্রকাশ্যে গুলি করছে।’
শরণার্থী শিবরে ঘুরে সেখানকার স্কুলের এক শিশুর কাছে জানতে চাওয়া হলো, বড় হয়ে পড়াশুনা শেষে সে কি করতে চায়। তার উত্তর ছিলো, বড় হয়ে সে যুদ্ধ করবে। সে বলছিলো, ‘যারা রোহিঙ্গাদের মারছে তাদের হামলা করবো।’