মিয়ানমারের মতো নিরাপত্তার হুমকির পাশাপাশি বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সন্ত্রাসী সংগঠনের জোট আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন অ্যালায়েন্স (আরসা)। সন্ত্রাসী গ্রুপের কিছু সদস্য শরণার্থীদের আড়ালে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে বিজিবিকে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদে জড়ানো ঠেকাতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারি থাকতে হবে।
সেনাবাহিনী সাথে যুদ্ধ করে আসা আরসা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, ‘রাতে তিনটার দিকে সেনাবাহিনী আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়া শুরু করে। আমরা দা ছুরি নিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের কাছে অস্ত্র না থাকার কারণে আমার পিছু হঠতে বাধ্য হই। পরে বাংলাদেশে চলে আসি।’
সেনাবাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে আলেকিন, সাংগঠনিক জোট আরসার সদস্যরা মিয়ানমারে নানা জঙ্গলে পালিয়ে আছে। আর গ্রেফতার এড়াতে তার মতো অনেক আরসার সদস্য বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে।
স্বাধীন আরাকানের দাবিতে আরএসও, আরাকান আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি, আলেকিনের মতো চারটি রোহিঙ্গা ভিত্তিক সন্ত্রাসী গ্রুপের সমন্বয়ে মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে নামে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন অ্যালায়েন্স নামে (আরসা) নতুন এ জোট।
বান্দরবানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান বলেন, আমাদের সীমান্তে ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছে ।
বান্দরবনের বিজিবি ৩৪ এর লে.কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান বলেন, কোন ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ অস্ত্র ও গোলা-বারুদ নিয়ে এবং টেরোরিস্ট গ্রুপের অ্যাকটিভিস্ট সীমান্ত হতে দিবো না।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) আবদুর রশিদ বলেন, আামদের গোয়েন্দা সংস্থাকে অ্যাকটিভ হতে হবে। সীমান্ত বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। বান্দবানের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটতে পারে।
পাকিস্তানে বংশোদ্ভূত আতাউল্লাহ নেতৃত্বে আরসা বাহিনী গত ২৪ অগাস্ট এক সাথে ২৪টি পুলিশ কেন্দ্রসহ একটি সেনাবাহিনীর কেন্দ্রে হামলা করে। শুরুতে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী পিছু হটলেও পরে মিয়ানমারে সাধারণ বাহিনীর নির্মম হামলা শুরু করে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গারা পরবর্তীতে বাংলাদেশে চলে আসতে শুরু করে।