অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ২৬০ রানে অল-আউট হয়েছে বাংলাদেশ।
এ,কে,এম শফিকুল ইসলামঃ রোববার সকালে মিরপুর শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জয়লাভ করেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তিনি প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। বৃষ্টি নামার শংকা নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চরম বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার সৌম্য সরকার। পেট কামিন্সের বলে ব্যক্তিগত ৮ রানে পিটার হ্যান্ডসকম্বের হাতে ধরা পড়েন সৌম্য। টেস্টে মাঠে নামলেও সৌম্য খেলেছেন ওয়ানডে স্টাইলে। প্রথম ওভারে ও একবার স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন এ বামহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যর্থ হয়েছেন ইমরুল কায়েসও। রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এ বামহাতি ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আবার ও আঘাত হানেন কামিন্স। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইমরুল। পরের বলেই আবার ও উইকেটের পতন। এবার কোনো রান করার আগেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাব্বির রহমান। ১০ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তখনই দলের হাল ধরেন ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা সাকিব এবং তামিম। বিপর্যয় সামাল দিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করতে থাকেন রান। লাঞ্চ বিরতির আগে তাদের জুটিতে আসে ৮৬ রান। বিরতির পর নিজের ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি তুলে নেন সাকিব। এরপর ১৮৩ বলে সাকিব ও তামিমের জুটিতে আসে শত রান। শুরু থেকেই ধৈর্য ধরে খেলা তামিম ইকবাল ও নিজের ক্যারিয়ারের ২৩তম অর্ধ শতক তুলে নেন। এরপর ২৪১ বলে ১৫০ রানের জুটি গড়েন তামিম-সাকিব। তামিম-সাকিব জুটি অস্ট্রেলিয়া শিবিরে যখন আতংক ছাড়াচ্ছিলেন ঠিক তখনই বোলারের পরিবর্তন করলেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তাতেই সফল অজি অধিনায়ক। ম্যাক্সওয়েলের বলে কাট করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের অংশে লেগে ক্যাচ চলে যায়। অজি ফিল্ডার ডেভিড ওয়ার্নার তালুবন্দি করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি। ১৫৫ রানে সাকিব-তামিমের চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙে। তামিম ৭১ রানের ইনিংসটি খেলেন ৩টি ছয় ও ৫টি চারের মারে সাজানো। তামিম ফিরে যাওয়ার পর সাকিবের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সাবাই। কিন্তু সেট হওয়ার পরও নাথান লায়নের বলে ব্যক্তিগত ৮৪ রানে স্লিপে ক্যাচ দেন সাকিব। চা বিরতির ঠিক আগে আউট হওয়া সাকিবের ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। চা বিরতির পর দলকে বিপদে ফেলে সাজ ঘরে ফেরেন মুশফিক। অ্যাস্টন আগারের বলে ব্যক্তিগত ১৮ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এ উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। দিনের খেলা ৬৬ দশমিক ৪ ওভার হওয়ার পর শুরু হয় বৃষ্টি। কিছুক্ষণ পর আবারও খেলা শুরু হয়। খেলা শুরু হওয়ার একটু পরেই সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি ১৪ রান করে লায়নের বলে আউট হন।