সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার মধ্যে নতুন শিল্পকারখানা না করার নির্দেশ : হাইকোর্ট
সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কতটি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে, তার তালিকা আগামী ৬ মাসের মধ্যে দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। চলতি বছরের এপ্রিলে সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্প কারখানাসহ অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব কলকারখানা স্থাপনের অনুমতি বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে তা বাতিলের আবেদন জানানো হয়। ‘সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংস্থার সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৪ এপ্রিল রিট আবেদন দাখিল করেন। রিট আবেদনে পরিবেশ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও সুন্দরবনের আশপাশের জেলাগুলোর দায়িত্বরত জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন এবং এর চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর এসেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে প্রায় ১৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে, যার মধ্যে জাহাজ ভাঙা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্প রয়েছে। এসব শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ ও পরিবেশ আইন ১৯৯৫-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তা ছাড়া এসব শিল্প কারখানা সুন্দরবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।