দু’দশক পেরিয়ে গেলেও সালমান শাহ’র মৃত্যু এখনো রহস্য। আরো ধুম্রজাল তৈরি হয় মামলার সাত নম্বর আসামি রুবির সাম্প্রতিক বক্তব্যে। সালমানের পরিবারের দাবি, হত্যা মামলা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা এবং মামলার তদন্ত সঠিকভাবে না হওয়ায় আজও জানা যায়নি সত্য। পুনরায় তদন্ত ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবি তার পরিবার ও সহকর্মীদের।
প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ, থার্টিফাইভ মিলিমিটার রঙীন সিনেমার পর্দার বাইরেও যিনি ছিলেন অসাধারন এক মানুষ। নিজের ব্যবহার শৈলিতে যে কাউকেই খুব সহজেই বন্ধু বানিয়ে নিতেন। সেই মানুষটির চলে যাওয়া আজও মেনে নিতে পারেননি কোটি সালমান ভক্ত। স্মৃতিচারণে এখনও চোখ ভিজে ওঠে সহকর্মীদের।
চলচ্চিত্র পরিচালক রেজা হাসমত বলেন, ‘এখনও আমার কাছে মনে হয় না সালমান নেই। এতো বন্ধুসুলভ শিল্পী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে আসে নি।’
বাংলাদেশ কালচারাল রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল খান বলেন, ‘সালমান শাহ অনেক ভালো এবং চরিত্রবান একজন মানুষ ছিলেন। আমি খুব কাছ থেকে তাকে দেখেছি সে ভণ্ডামিটা পছন্দ করতেন না।’
এদিকে সালমান শাহ এর মা নীলা চৌধুরীর দাবি, সালমানের মৃত্যুর পরপরই তার ঘরে যেসব আলামত পাওয়া গেছে তাতে প্রমাণ হয় সালামান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া প্রথম থেকেই মামলাটি অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে তদন্ত ও পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।
সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরী বলেন, ‘আমার ছেলে জীবিত থাকা সময়ে তাকে অনেকবার হামলা করা হয়েছে। সে তখনও জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছিলো। তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয় নেই। সে যেদিন মারা গেছে আমি তার টেবিলের ওপর শুটিং-এর রেগুলার ড্রেস পেয়েছি। আত্ম হত্যা করলে এই ড্রেস সে রাখতো না।’
এদিকে এই মামলার আইনজীবী জানান, রহস্যে ঘেরা এই মামলায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
পাশাপাশি আসামিরা বেশিরভাগই বিদেশে থাকায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা