অনলাইনে ‘পর্নো ব্যবসায়ী’ ফুয়াদ রিমান্ডে
এ,কে,এম শফিকুল ইসলামঃ অনলাইনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ব্যবসার অভিযোগে ফুয়াদ বিন সুলতান নামের এক ব্যক্তিকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী এ আদেশ দেন। ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ আসামি ফুয়াদকে পর্নোগ্রাফি ও মাদকের মামলায় হাজির করে সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল বুধবার র্যাব জানায়, ফুয়াদ শুধু পর্নোগ্রাফির ব্যবসা নয়, তিনি নিজেদের বাড়ির দুটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে ব্যবহার করে আসছিলেন। ওই ফ্ল্যাটে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়া তৈরির পাশাপাশি মাদক সরবরাহ করা হতো বলে জানায় র্যাব। এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পর্নো বিজ্ঞাপন ও দেহ ব্যবসার বিজ্ঞাপন দিতেন ফুয়াদ। র্যাব জানায়, ১০১৫ এবং ২০১৬ সালে দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তিনি পর্নোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ব্যক্তিজীবনে তিনি ইংরেজিতে অনার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এবং একসময় বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি ও বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি ছাত্রাবস্থা থেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনেক মেয়ের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতারণা করতেন বলে জানা যায়। র্যাব আরো জানায়, ফুয়াদ ২০১১ সালে কমিশনের বিনিময়ে বাসা ভাড়া করে দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেন এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেন। তিনি বৈধ পন্থায় দেশি-বিদেশি নাগরিকদের গুলশান ও উত্তরায় বিভিন্ন বাসা ভাড়া দিয়ে কমিশন নিতেন। ২০১৪ সালের দিকে তিনি ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করেন। এ সময়ে তিনি বিভিন্ন পর্নোসাইটে বিচরণ করেন। দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তিনি পর্নোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করেন। এই দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তিনি বিভিন্নভাবে সংগৃহীত মেয়েদের আপত্তিকর ছবি, মোবাইল নম্বর এবং দৈহিক মিলনের বিনিময়ে নির্ধারিত মূল্য উল্লেখ করে বিভিন্ন জনকে আকৃষ্ট করতেন। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় ফুয়াদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ।