সৎ মেয়ে ধর্ষণ মামলায় দু’দিনের রিমান্ডে আরমান
আট বছর ধরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারকৃত আরমান হোসেন সুমনের (৩৮) দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে আরমানকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় রমনা থানা পুলিশ। অন্যদিকে আরমানের আইনজীবী ফয়সাল মাহমুদ তার জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন টিপুর আদালত। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে রমনা থানায় নারী নির্যাতন দমন আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আরমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ওই তরুণী। প্রাথমিক তদন্ত শেষে বুধবার (১২ জুলাই) রাতে আরমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেয়েটির বাবার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ২০০৫ সালে আরমান হোসেনকে বিয়ে করেন তার মা। দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর থেকে মায়ের কাছে থাকা শুরু করেন মেয়েটি। চাকরির কারণে মেয়েটির মা মোহাম্মদপুরের নূর জাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন। আর ২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে সে সময়কার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটিকে প্রথম ধর্ষণ করেন আরমান। এ সময় মেয়েটির আপত্তিকর ছবি মোবাইলে তুলে রাখেন তিনি। এরপর থেকে ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই মেয়েটি ধর্ষণ করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ২০১৫ সালে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আরমানই তার অবৈধ গর্ভপাত ঘটান। এরপরও মেয়েটির ওপর চলে নির্যাতন। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে নিউ ইস্কাটন রোডের খালার বাসায় চলে যান ওই তরুণী। এরপরও তাকে কুপ্রস্তাব পাঠাতেন আরমান। রাজি না হলে এক পর্যায়ে ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপ ওই মেয়েটির বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।