১৬ হাজার মিল মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী
চাল মজুদ করে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করায় ১৬ হাজার মিল মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এদের চিহ্নিত করে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামী তিন বছর এই ১৬ হাজার মিল মালিকের কাছ থেকে সরকার কোনো চাল কিনবে না।দেশের চলমান খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি ও উত্তরাঞ্চলের ফসল নষ্টের অজুহাত দেখিয়ে অধিক মুনাফার লোভে মিল মালিকরা চাল মজুদ করেন। তাঁরা মজুদের জন্য সরকারের কাছে চাল বিক্রি করেননি। অথচ সরকারের সঙ্গে চুক্তি ছিল তাঁদের। দেশে এখন খাদ্য সংকট বা ঘাটতি কোনোটিই নেই জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ১২ লাখ টন চাল আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই মজুদ করা হবে। আগস্টের মধ্যে ৮ থেকে ১০ লাখ টন চাল মজুদ হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া এ মাসেই ভিয়েতনাম থেকে এক লাখ ১০ হাজার টন চাল আসছে এবং আগামী মাসের মধ্যে আরো আসবে। মন্ত্রী বলেন, সব মিলিয়ে মোট আড়াই লাখ টন চাল দেশটি থেকে আমদানি করা হবে। ২০ হাজার টন চালবোঝাই একটি জাহাজ ভিয়েতনাম থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত, থাইল্যান্ডসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারত থেকে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবে। তাদের সঙ্গে চাল আমদানির বিষয়ে আলোচনা হবে।