গ্রাহকের কিছু টাকা দিন,পরে জামিন
ডেসটিনির এমডি ও চেয়ারম্যানের জামিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছেন, ‘ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও এমডি জামিনে একবার কারাগারের বাইরে গেলে তাঁরা আর এক টাকাও জমা দেবেন না। এমনকি জামিনে একবার গেলে তাঁদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। এ-সংক্রান্ত এক আদেশের সংশোধন চেয়ে ডেসটিনির দুই কর্ণধারের জামিনের আবেদনের শুনানিকালে ডেসটিনির আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এসব কথা বলেন। আদালতে ডেসটিনির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। আদালত বলেন, ডেসটিনির বিরুদ্ধে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও এমডি জামিন পেয়ে একবার কারাগারের বাইরে গেলে তাঁরা আর এক টাকাও জমা দেবেন না। টাকা দেওয়া তো দূরে থাক, তাঁরা আরো অর্থ বাইরে পাচার করবেন। ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আপনি তো এর আগে হলমার্কের জেসমিনকে টাকা দেওয়ার শর্তে জামিন নিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই টাকা তো দেননি। পরে আবেদন দিয়ে ওই আদেশও প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। সেটা আমাদের জানা আছে। তখন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমি (তাঁর মক্কেলের কথা বলেছেন) তো জেলে আছি। গাছ তো রয়েছে গাছের জায়গায়। সেটা ছাগলে খেয়েছে না মারা গেছে, তা তো জানি না। আমাকে দুই মাসের জামিন দিন। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘আপনি একবার জামিনে বেরিয়ে গেলে আপনাকে আর পাওয়া যাবে না। এ সময় আদালত জানতে চান, ‘আপনার অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে?’ জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘১৪৭ কোটি টাকা আছে। আদালত আরো বলেন, ‘আপনারা শর্ত অনুযায়ী কিছু টাকা পরিশোধ করুন। আপনাদের সব সুবিধা দেবো। এরপর আদালত ব্যাংক হিসাব দাখিলের নির্দেশ দিয়ে আগামী রোববার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করে দেন।এর আগে গত বছরের ১৩ নভেম্বর ডেসটিনি গ্রুপের গাছ লাগানো প্রকল্পের আওতায় থাকা ৩৫ লাখ গাছ ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।ওই দিন আদালত আদেশে বলেছিলেন, ৩৫ লাখ গাছ বিক্রির দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা সরকারকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে। টাকা পাওয়ার পর ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনকে আপিল বিভাগ জামিন দেবেন বলে আদেশে বলা হয়।তবে গাছ বিক্রি করে যদি দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা না হয়, তাহলে কমপক্ষে আড়াই হাজার কোটি টাকা সরকারকে দিলেই জামিন মিলবে ডেসটিনির দুই শীর্ষ কর্মকর্তার।