রাজধানীর গুলশান হামলার ‘পরিকল্পনাকারী’ সোহেল মাহফুজ রিমান্ডে
রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী’ ও ‘নব্য জেএমবি’র নেতা সোহেল মাহফুজের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম এইচ এম তোয়াহা এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আসামি মাহফুজকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।গতকাল শনিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) টি এম মুজাহিদুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার পুষ্করিণী এলাকার একটি আমবাগান থেকে সোহেল মাহফুজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে সোহেল মাহফুজ ওরফে শাহাদাত নসরুল্লাহ রাজধানীর হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলের প্রধান বলে জানান এসপি।পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন নব্য জেএমবির অন্যতম সমন্বয়ক জামাল ওরফে মোস্তফা কামাল, জেএমবির আইটি বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান ওরফে হাসান এবং জেএমবির সামরিক শাখার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য জুয়েল ওরফে ইসমাইল। তাঁরা সেখানে গোপন বৈঠক করছিলেন।এর মধ্যে সোহেল মাহফুজকে হলি আর্টিজানে হামলার আরো তথ্য উদঘাটন ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও বগুড়া পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।সোহেল মাহফুজ ছাড়া বাকি তিনজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।গত বছরের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে।সেদিনই উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপত্র আমাক হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স।