মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের ক্ষণ ঘনিয়ে আসায় নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকসহ এর চারদিক ও আশে পাশের এলাকায় নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বিপুল পরিমাণ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি।এদিকে চাঁনখারপুল ও নাজিমউদ্দিন রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এছাড়া ওইসব এলাকার সকল দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।এছাড়া রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিসহ গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।এদিকে মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের বিরোধীতায় জামায়াতে ইসলামী আজ রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে।সূত্র জানায়, এতে র্যাব-পুলিশের টহল, সিভিল পোশাকে গোয়েন্দা ও পুলিশি নজরধারীও বৃদ্ধি করা হয়েছে।এদিকে কারাগার সূত্র জানায়, সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে সর্বশেষ আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কারাগারে তাদের সাথে দেখা করতে গেছেন দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট। সূত্র জানায়, কারা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে তারা প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কিনা। ওই দুই ম্যাজিস্ট্রেট বেরিয়ে আসার পর সাকা-মুজাহিদের ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। দণ্ডিতরা প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তা না হলে ফাঁসি কার্যকরের পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
কারাফটকসহ রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার
Share!