ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের টিভিতে পাখির বাসা
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামি, বাদী ও আইনজীবীদের ডিজিটাল কার্যতালিকা দেখার সুবিধার্থে ২০১২ সালে একটি টিভি স্থাপন করা হয়েছিল। ছয় মাসের মতো সেটি চলেছিল। কিন্তু এর পর অযত্ন, অবহেলায় টিভিটি অকার্যকর হয়ে গেছে। সেটিতে এখন বাসা বেঁধেছে চড়ুই পাখি। আদালতের দৈনিক হাজিরা, মামলার ফলাফল, মামলার কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ ও প্রত্যেক আদালতের বিচারকদের নামসহ বিস্তারিত তথ্য এই টিভিতে দেখা যেত। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির তরিকুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউএনডিপি ঢাকার জেলা জজ আদালতের ডিজিটাল কার্যতালিকার এ টিভিটি স্থাপন করে। এর পর তখনকার জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মজিদ এই সেবাটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু ছয় মাস পার হতেই এই সেবাটি বন্ধ হয়ে যায়। আর সেই সময় থেকে ৫ বছর ধরে টিভিটি ব্ন্ধ হয়ে আছে। তবে সম্প্রতি টিভিটি ঠিক করা হয়েছে। জেলা জজ এস এম কুদ্দুস জামান অনুমতি দিলে টিভিটি আবার চালু করা হবে। এ বিষয়ে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৪-এর পেশকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১২ সালে এই টিভিটি উদ্বোধন করা হয়। এর পর থেকে ৬ মাস টিভিটি সচল ছিল। এর পরই টিভিটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন টিভিটিতে চড়ুই পাখি বাসা বেঁধেছে। আবুল কালাম আজাদ বলেন, টিভিটি চালু হওয়ার পর অনেক আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী মামলার ফল খুব সহজেই জানতে পারতেন। এতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীর খুব উপকার হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই টিভিটি বন্ধ থাকায় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ঢাকা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী বেলাল হোসেন জসিম জানান, সকালে যখন আদালত শুরু হয় তখন খুব ভিড় লেগে থাকে। আদালতে পর্যাপ্ত দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। ডিজিটাল কার্যতালিকার টিভিটি যখন ছিল, তখন ভিড় অনেক কম ছিল। আগে যে আইনজীবীর যখন মামলা, তখন তিনি আদালতে যেতেন। এ ছাড়া বিচারপ্রার্থীরা বাইরে থেকে খুব সহজেই জেনে নিতে পারতেন পরবর্তী মামলার তারিখ ও মামলার শুনানি হয়েছে কি না। আইনজীবী জসিম আরো জানান, টিভিটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সরকারিভাবে সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে। আর এতে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের সমস্যা হচ্ছে। অবিলম্বে টিভিটি চালু করলে বিচারপ্রার্থীসহ আইনজীবীরা উপকার পেত।