ব্রণের চিকিৎসা কী ?
ব্রণ বুঝে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করা হয়। নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক মো. আবদুল ওয়াহাব। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্ম ও যৌন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ব্রণের চিকিৎসায় কী দিয়ে থাকেন?
উত্তর : আমরা একনেকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করি—মাইল্ড, মডারেট, সিভিয়ার। মাইল্ড মানে অল্প আছে। সে ক্ষেত্রে আমরা কেবল মুখে লাগানোর জন্য ওষুধ দিয়ে থাকি। ওষুধ দেওয়ার আগে আমরা রোগীকে বলে নিই এটি বেশি সময় লাগবে। এক মাসের মধ্যে আপনি উপকার পেতেও পারেন, নাও পেতে পারেন। আপনাকে তিন-চার মাস ওষুধ লাগানোর হলে লাগাতে হবে, যদি খাওয়া দিই, খেতে হবে। তারপর ফলাফলটি ভালো হবে। যেকোনো ধরনের ব্রণ ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে ভালো করতে পারছি।
প্রশ্ন : জটিল হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার ব্যথা কষ্ট, সংক্রমণ এই ক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তর : মাইল্ডের ক্ষেত্রে অনেক রকম ওষুধ পাওয়া যায়। টপিক্যাল, রেটিনয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম, অ্যান্টিবায়োটিক লোশন—এগুলো কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দুই থেকে তিন মাস ব্যবহার করবে। আর যদি মডারেট হয়, আমরা সিস্টেমিক অ্যান্টিবায়োটিক দিই। টপিক্যাল যেগুলো বললাম, এগুলো দিয়ে থাকি। সিস্টেমিক অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে আমরা টেট্রা সাইক্লিন, ডক্সি সাইক্লিন, মিনোসাইক্লিন, সালফার এগুলো দিয়ে থাকি। তবে এগুলো দীর্ঘ সময়। তিন থেকে ছয় মাস। সবচেয়ে বেশি ব্রণ, যেটা এর ক্ষেত্রে ভেতরে দেখা যায়, পুঁজ পুঁজ হয়ে গেছে, এ ক্ষেত্রে আমরা একটি ম্যাজিক ওষুধ ব্যবহার করি। রোয়াকুইটেন বা আইসোট্রিটিনয়েন। এটি অনেক দাম। সাধারণ লোকের নাগালের বাইরে। একটি কোর্সের এক মাসের জন্য দরকার হয় চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। অন্তত ছয় মাস তাকে চিকিৎসা করতে হবে। ফলাফল ৯৫ ভাগ ভালো। পুনরায় হওয়ার আশঙ্কাও কম। এই ওষুধ আমরা ব্যবহার করি। তবে এখানে কিছু জটিলতা আছে। যেমন : কেউ যদি বাচ্চা নিতে চায়, ওই সময় আমরা দিই না। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে এমন কিছু নেই। এটি খুবই ভালো ওষুধ। আমাদের দেশেও পাওয়া যায়।
ইদানীং সুখবর হলো ভারত থেকে কিছু ওষুধ আসছে। আগে যেটি আমরা ব্যবহার করতাম, সেটি সুইজারল্যান্ডের। খুব দামি। তবে এখন ভারত, চীন থেকে কিছু ওষুধ আসছে, এগুলোর দাম খুবই কম।
বাংলাদেশে অনেক কোম্পানিকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। তারা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।
প্রশ্ন : হরমোনথেরাপি বা এই জাতীয় চিকিৎসা কি ব্রণের আছে?
উত্তর : হরমোনথেরাপির কথা আমরা সাধারণত চিন্তা করি মেয়েদের ক্ষেত্রে। যাদের দেখা যাচ্ছে ঋতুস্রাবের সময় ব্রণটা বেড়ে যাচ্ছে, তখন আমরা পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রমের কথা চিন্তা করি। তখন আমরা আলট্রাসনো করে দেখি, যদি কিছু সমস্যা থাকে হরমোনের মাত্রা দেখি। টেসটেসটোরেন দেখি, প্রজেস্টেরন দেখি। আমরা হরমোন থেরাপি দিই।