Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অবৈধ: হাইকোর্ট

হাইকোর্টের রায়

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অবৈধ

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত আলাদা দুটি রিটের শুনানি শেষে আজ  বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবী হাসান এম এস আজিম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট-২০০৯) কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আলাদা দুটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ২০১১ সালে এ বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। আজ  রুলের  চূড়ান্ত শুনানি শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কর্তৃক রায় ঘোষণাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলার রায় অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও বিচার করা সংবিধান ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থী’, বলেন আজিম। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা ও উপধারা চ্যালেঞ্জ করে ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে ওই বছরের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ আইনটির কয়েকটি বিধান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর টয়েনবি সার্কুলার রোডে অবস্থিত এক বাড়ির মালিক মো. মজিবুর রহমানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর পর আইনের বিধান ও অর্থ ফেরতের নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর রিট করেন মজিবুর। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই দিন হাইকোর্ট রুলসহ সাজার আদেশ স্থগিত করেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের কয়েকটি বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে ২ মে দিনাজপুরের বেকারি মালিকদের পক্ষে মো. সাইফুল্লাহসহ ১৭ জন আরেকটি রিট করেন। এতে বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে খাদ্য বিশেষজ্ঞ ও পরীক্ষার জন্য যন্ত্রপাতি সঙ্গে রেখে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ মে হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। এসব রুলের ওপর দীর্ঘদিন শুনানি শেষে আজ  রায় ঘোষণা করা হয়।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top