একই সূত্রে গাঁথা দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস : দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস একই সূত্রে গাঁথা। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দুদকে ১৭ জন মাদক বিক্রেতার ঠিকানা ভুল দিয়েছে তাই এখনো মাদক বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। রোববার ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইকবাল মাহমুদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে সঠিক ঠিকানাসহ মাদক বিক্রেতাদের তালিকা আমি চাই। তালিকা না পেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকেও ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে ৩৬৫ জন মাদক বিক্রেতার তালিকা করেছে দুদক। এছাড়া দেশে ১০ হাজার কোটি টাকার মাদকের লেনদেন হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। মাদক সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির আগে রক্তে মাদক আছে কি না পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। এছাড়া গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার আগেও রক্ত পরীক্ষা করা উচিত বলে আমি মনে করি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সালাউদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশে মাদকের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, দেশে মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮৪ শতাংশ পুরুষ এবং ১৬ ভাগ নারী। দেশে সাড়ে তিন লাখের মত মাদক আমদানি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী রয়েছে। যেখানে উচ্চ শিক্ষিত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে ১৫ শতাংশ লোক। এছাড়া মাদক আমদানিতে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি মুদ্রা বিদেশে পাচার হচ্ছে। জরিপে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে মাদকাসক্ত ৫০ লাখ। কোনো কোনো সংস্থার দাবি ৭০ লাখ, যা ৯০ দশকের জরিপে ছিল মাত্র ১০ লাখ। মাদকসেবীদের ৮০ শতাংশ যুবক, তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশই বেকার। অন্যদিকে সারাদেশে ৩০ লাখ ছোট বড় মাদক ব্যবসায়ী মিলে প্রতিদিন ২০০ কোটি টাকার মাদক কেনাবেচা করে। ইয়াবার মধ্যে ৮৫ শতাশংই ভেজাল।