পদ্মায় নৌকাডুবিতে পাঁচজন নিখোঁজ
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনার ৩৫ ঘণ্টা পর দুই শিশুসহ পাঁচজনের লাশ ভেসে উঠেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গত রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর দরগাপাড়া সংলগ্ন এলাকায় এ নৌকাডুবি ঘটে। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার ভাটিতে তালাইমারী ফুলতলা ঘাটে ভেসে ওঠা দুই মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর চর সাতবাড়িয়া এলাকা থেকে দুজনের এবং টাঙ্গন এলাকা থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। লাশগুলো উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস বড়কুঠি ঘাটে নিয়ে এসে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে পুলিশ লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। এর আগে সোমবার দিনভর নিখোঁজদের সন্ধানে পদ্মায় তল্লাশি চালিয়েও কারো সন্ধান না পাওয়ায় সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারো তল্লাশি শুরু করার কথা ছিল ডুবুরিদের। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালবৈশাখীর ঝড় শুরু হলে চরাঞ্চল থেকে ফেরার পথে পদ্মায় নৌকাডুবিতে পাঁচজন নিখোঁজ হয়। এরা হলেন, শাহ মখদুম মাদ্রাসা ছাত্র আবদুল আহাদ (১০), তামিম (১০), নৌকার মাঝি রফিক, আসাদুল ও চটপটি বিক্রেতা রবিন। তাদের মধ্যে আবদুল আহাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ঝিকড়া গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। আসাদুলের বাড়ি পদ্মার মধ্যচরে। অন্য তিনজন নগরীর দরগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।