প্রথম ডিজিটাল দ্বীপ মহেশখালী বসেই বিশ্বটা হাতের মুঠোয় চলে আসবে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলাকে দেশের প্রথম ডিজিটাল দ্বীপ হিসেবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে দ্বীপের মানুষ আরো উন্নতমানের শিক্ষার সুযোগ পাবে, চিকিৎসার সুযোগ পাবে। তাদের কর্মসংস্থানের সুবিধা হবে। আর দ্বীপে বসেই বিশ্বটা তাদের হাতের মুঠোয় চলে আসবে। সারা বিশ্বকে তারা জানতে পারবে, দেশে-বিদেশে যোগাযোগ রাখতে পারবে। আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করেন। পরে একই স্থান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ‘পোর্ট এক্সপো-২০১৭’-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন এবং কোরিয়ান একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে মহেশখালীকে ডিজিটাল দ্বীপ হিসেবে রূপ দেওয়া হয়েছে। কোরিয়ার এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সিউল থেকে এবং মহেশখালী থেকে দ্বীপের সর্বস্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। এটিই বাংলাদেশের প্রথম দ্বীপ এলাকা, যেখানে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হলো। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহেশখালীর এই আধুনিকায়নের ফলে শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সরকারি সেবা দ্বীপের প্রত্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো আরো সহজ হবে। মহেশখালী ছাড়াও আরো যেসব বিচ্ছিন্ন এলাকা আছে, সেগুলোতে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে ‘পোর্ট এক্সপো-২০১৭’-এর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোও এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী বলে জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বন্দরের সুনাম যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এটাকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আমি মনে করি, এটা অত্যন্ত জরুরি।’ সেদিকে লক্ষ রেখে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে চট্টগ্রাম বন্দরে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।