চাঁদাবাজির মামলা ডিবির ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে
দোকান কর্মচারীকে তুলে নিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আট সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে এ মামলা করেন দোকান কর্মচারী মো. মঈন উদ্দিন। চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটকে একটি দোকানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন তিনি। চার মাস আগে দুই হাজার ‘জাল স্ট্যাম্প’সহ মঈনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন চট্টগ্রাম ডিবি পুলিশ। গত মাসে তিনি এ ঘটনায় করা মামলায় জামিনে মুক্তি পান। মামলায় যাদের নাম আছে, তারা হলেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেকান্দর আলী ও মো. দেলোয়ার হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আজহারুল ইসলাম ও আবদুল ওয়াদুদ এবং কনস্টেবল আরমান হোসেন, খোরশেদ আলম ও উকিল আহমেদ। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ডিবি পুলিশের আট সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী উল্লেখ করেন, ‘গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে একটি পরিবারের সঙ্গে বাদীর পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে বাদীকে হয়রানি করতে না পেরে পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটকের দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় লালদীঘি এলাকায় ডিবি কার্যালয়ে। সেখানে বাদীর কাছ থেকে পুলিশ সদস্যরা তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাকে মারধর করেন তারা। এমনকি বাদীর মানিব্যাগে থাকা ৩ হাজার ৯০ টাকা ও একটি মুঠোফোন কেড়ে নেন ওই পুলিশ সদস্যরা। পরে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে বাদীকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৬ মার্চ এ মামলায় জামিনে মুক্তি পান। এ কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়। চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী বলেন, মঈন উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করে আসছিলেন। তার কাছ থেকে দুই হাজার জাল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এগুলো জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় শিগগিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হতে পারে। মামলা থেকে বাঁচার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছেন।