পূর্বানুমতি ছাড়া নিষিদ্ধ মাছ আমদানি করলে জেল-জরিমানা
পূর্বানুমতি ছাড়া নিষিদ্ধ মৎস্যজাত পণ্য আমদানি করলে দুই বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে মৎস্য সংঘ নিরোধ আইন এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে মৎস্য রেণু, মৎস্য পোনা ও মাছ আমদানি করা হয়। তাই এসব রেণু, পোনা ও মাছে যেন কোনও জীবাণু না থাকে সেজন্য এ আইন করা হয়েছে। এটি একটি নতুন আইন। এ আইনে আফ্রিকান মাগুর ও পিরানহা মাছ আমদানি নিষিদ্ধ হয়েছে। পিরানহা মূলত ব্রাজিলের আমাজন নদী ও আশেপাশের জলাশয়ের মাছ। এই মাছটি দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় এবং জীবন্ত কোনো প্রাণী পেলেই তা খেয়ে ফেলে। যেসব নদীতে পিরানহা থাকে, সেগুলোতে মাছ জাতীয় জলজ প্রাণীর সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশেও বাজারে প্রায়ই পিরানহার দেখা মেলে। বন্যায় এই মাছগুলো ছড়িয়ে পড়লে কী হবে-এ নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে। সচিব জানান, এতদিন পোনা মাছ আমদানিতে সরকারের অনুমতির বাধ্যবাধকতা না থাকায় ক্ষতিকর মাছ এসেছে। তবে এখন থেকে এই অনুমতি লাগবে। তবে এই আইনে পুলিশ সরাসরি গ্রেপ্তার করতে পারবে না। যদিও ভাম্যমাণ আদালত তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে। শফিউল আলম জানান, মৎস্য সংঘ নিরোধ সংক্রান্ত একটি কর্তৃপক্ষ থাকবে। এ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকবে মৎস্য অধিদপ্তর। আর এর প্রধান থাকবে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। আর প্রয়োজনে সরকার চাইলে অন্য কমিটিও গঠন করতে পারবে, এমন বিধানও রাখা হয়েছে আইনে।