জনতা ব্যাংকে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি পরীক্ষার্থীদের।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জনতা ব্যাংকে নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। ওই পরীক্ষার্থীদের দাবি, লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান পরীক্ষার্থীদের একাংশ। এ সময় তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কাছে স্মারকলিপি দেন। গত শুক্রবার ওই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, ‘শুক্রবার জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদের পরীক্ষা ছিল। এ পরীক্ষার আগেই অনেকের কাছে প্রশ্নপত্র চলে যায়। ফলে এর মাধ্যমে মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। রাকিব হাসান আরো বলেন, ‘ব্যাংকের এমন লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু জনতা ব্যাংকের এমন প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই।’ তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানান, পরীক্ষা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র বাতিল করে আগামী ২৭ তারিখের মধ্যে পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে সেই সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। ইডেন কলেজে পরীক্ষার কেন্দ্র না করার দাবিও জানান তিনি। ওই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সত্য নয়। এক ধরনের কুচক্রী মহল আছে যারা পরীক্ষাতে পাস করতে পারেনি তারাই এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ওরা যে ষড়যন্ত্র করছে আবার পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সেটি সম্ভব নয়। অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে যত পরীক্ষা হয়েছে সেসব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কখনো ফাঁস হয়নি। আমি এর আগেও অনেক সরকারি বেসরকারি পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলাম সেখানেও কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আউট হওয়ার অভিযোগ পাইনি। হলে থাকা এক ধরনের রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন আছে তাদের সঙ্গে কতিপয় দুষ্কৃতকারী মিলে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে। পরীক্ষার ঠিক আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্ন পৌঁছেছে বলে জানান অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘তারপর নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে যারা ডিভাইস ব্যবহার করেছে তাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকার ঘটনা ঘটেনি। গত ২৪ মার্চ জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৮৩৪টি পদের বিপরীতে উত্তীর্ণ হয় ১০ হাজার ১৫০ জন। গত শুক্রবার ৯ হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।