কওমি শিক্ষার্থীরা দ্বীন শিক্ষার পাশাপাশি নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে স্নাতকোত্তর সনদের স্বীকৃতি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
কওমি শিক্ষার্থীরা যাতে দ্বীন শিক্ষার পাশাপাশি নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে সে কারণেই তাদের স্নাতকোত্তর সনদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আজ রোববার দুপুরে শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনের পর উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের লাখ লাখ ছাত্র তারা কওমি মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। তারা যেন দ্বীনের কাজের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্যই কওমি মাদ্রাসাগুলোর স্বীকৃতির প্রয়োজন ছিল। তাই সেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘হেফাজতের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার মিলটা কোথায়, আমি সেটা বুঝছি না। আপনারা দুটো এক সঙ্গে লাগাচ্ছেন কেন? কওমি মাদ্রাসা এক জিনিস, আর স্বীকৃতি দেওয়া এক জিনিস, জঙ্গিবাদ আরেক জিনিস। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি অনেক পুরোনো ইস্যু ছিল। প্রধানমন্ত্রী একটা কমিটি করে দিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। তাঁরা (কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকরা) এতদিন আসতে পারেননি, এখন এসেছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী তাঁদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঝিনাইগাতীর নবনির্মিত মডেল থানা ভবনের উদ্বোধন করেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শেরপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি প্রমুখ। গত ১৩ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সমমর্যাদা দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে গত ১১ এপ্রিল গণভবনে আলেমদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে তিন শতাধিক আলেম এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কওমি ঘরানার দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব আলেম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।