বিশ্ববিদ্যালয় লিখে সার্চে দেখা যাচ্ছে পর্ণ !
সোশ্যাল মিডিয়াই এখন তথ্যের ভাণ্ডার। সেখানে মেলে না, এমন কিছুই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সার্চ করেই হকচকিয়ে অনেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত তো কোনো তথ্য জানতে গেলে, উল্টো সকলের সামনে ভেসে উঠে পর্নগ্রাফি।
এমনই ঘটনা শিকার হয় আরাধনা সিং।
এই জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইটে DU (দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করে বলা হয়) লিখে সার্চ করেছিলেন তিনি। প্রথম দশটি সার্চের মধ্যে একটিতেও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য আসেনি। উল্টো খুলে গেছে অ্যাডাল্ট সাইট। যেখানে অশালীন ছবি এবং মেসেজই ঘোরাঘুরি করছে।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এসব বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, তারা সরাসরি এ বিষয়ে কিছু করবে না। পুরো বিষয়টি দেখবে থার্ড পার্টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা নীতা সেহগাল বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কোনো কর্মকর্তা নেই যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন। তাই আমাদের হাত বাঁধা। তাছাড়া সরাসরি কোনো অভিযোগ না পেলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়।’
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে ওই সাইটের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলে। তাদের তরফে জানানো হয়, নোটিসের মাধ্যমে বিষয়টি তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। তবেই এ ধরনের কনটেন্ট ও সাইট বন্ধ করা যাবে। DU কিওয়ার্ড দিয়ে ওই সাইটে সার্চ করলে প্রথমেই আসছে ‘দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অদেখা কেলেঙ্কারি’, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হট অ্যান্ড কিউট ভারতীয় নারী’, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নগ্ন-মহিলার সঙ্গে যৌনমিলন’, ‘সেক্স টিউব অনলাইন গেম’এর মতো কনটেন্টগুলো। সঙ্গে সে সব পেজে থাকছে অশালীন ছবি ও ভিডিও৷
আরাধনা সিং জানান, মোবাইলের স্ক্রিনে আচমকা এমন অশালীন ছবি, ভিডিও ভেসে ওঠাটা ভীষণ লজ্জাজনক। তবে পুলিশ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি তিনি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় নামের আগে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করায় এমন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে ভাবমূর্তি যে নষ্ট হচ্ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টও নেই। কীভাবে এসব বন্ধ করা যায়, সেটাই এখন চিন্তার বিষয় DU-এর।