Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী,খন্দকার এনায়েতুল্লাহ সিটিং সার্ভিস বন্ধের প্রতিশোধ নিচ্ছেন যাত্রীদের উপর মালিকরা

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী,খন্দকার এনায়েতুল্লাহ সিটিং সার্ভিস বন্ধের প্রতিশোধ নিচ্ছেন যাত্রীদের উপর মালিকরা ।

সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দ্বিতীয় দিনেও বাস্তবায়ন করেনি রাজধানীর অনেক গণপরিবহন। যারা লোকাল সার্ভিস চালু করেছে, তাদের অনেকেই আগের মতোই সিটিংয়ের ভাড়া নিচ্ছে, আবার যত্রতত্র থামিয়ে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীও ওঠাচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, পরিবহনগুলোর কর্মচারীদের বক্তব্যেই বোঝা যাচ্ছে, সিটিং সার্ভিস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে নাখোশ মালিকপক্ষ নানাভাবে এর প্রতিশোধ নিচ্ছে।  গণপরিবহনের নৈরাজ্য ঠেকাতে গত ০৪ এপ্রিল রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ। রোববার (১৬ এপ্রিল) থেকে কার্যকর করা হয় এ সিদ্ধান্ত। তবে এ সিদ্ধান্তে একশ্রেণির মালিকপক্ষ নাখোশ হয়ে বিভিন্ন কৌশলে যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে প্রতিশোধ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া সিদ্ধান্ত মানছেও না অনেক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। তারা আগের মতোই সিটিং পদ্ধতিতে যাত্রী আনা-নেওয়াসহ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। আবার কিছু কিছু পরিবহন সিটিং উঠিয়ে দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি আগের মতোই রয়ে গেছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও, খামারবাড়ি, ফার্মগেট ও বাংলামোটর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি গণপরিবহন সিটিং সার্ভিস পদ্ধতিতে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। নির্দিষ্ট স্থানে চেকারও রয়েছেন এসব পরিবহনের। আর যেসব পরিবহন লোকাল পদ্ধতিতে চলছে, তারা স্বাভাবিক নিয়মের তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী ওঠাচ্ছে। আবার অনেক পরিবহন সিটিং পদ্ধতিতে না চলেও ভাড়া সিটিং সার্ভিসের হিসেবেই নিচ্ছে। যাত্রীরা বলছেন, ‘সিটিং সার্ভিস বন্ধের সুফল আমরা এখনো পাচ্ছি না। ভোগান্তি আগের মতোই রয়ে গেছে। সকল পরিবহন এখনো সিটিং সার্ভিস বন্ধ করেনি। বিশেষ করে সাভার, আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী সার্ভিসগুলো এখনো সিটিং বন্ধ করেনি’। কয়েকজন যাত্রীর অভিযোগ, যেসব পরিবহন সিটিং উঠিয়ে লোকালে চলছে, তারা নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে, মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী ওঠাচ্ছে, আবার ভাড়াও বেশি নিচ্ছে। চালক-সহকারীরা বলাবলি করছেন, সিটিং বন্ধের সাধ এখন বুঝিয়ে দেবো। তারা আসলে এভাবে যাত্রীদের ওপর সিটিং বন্ধের প্রতিশোধ নিচ্ছেন’। সাভার থেকে গুলিস্তানগামী ওয়েলকাম পরিবহনের যাত্রী ফজলে রাব্বী  বলেন,  এ পরিবহন এখনো সিটিং সার্ভিস বন্ধ করেনি। তারা আগের মতোই সিটিং সার্ভিসে চলছে এবং ভাড়া নিচ্ছে । এ অভিযোগ সম্পর্কে ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসের চালক কালু মিয়া  বলেন, আমাদের মালিক সিটিং বন্ধ করতে বলেননি। তাহলে আমরা কিভাবে বন্ধ করবো ? মালিক বলেছেন, এ বিষয়ে ২০ এপ্রিল সিদ্ধান্ত নেবেন। মালিকের সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত আমরা সিটিংয়েই চলবো । মিরপুর ১০ নম্বর থেকে সদরঘাটগামী শিকড় পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী জয় কর্মকার  বলেন, তারা সিটিং বন্ধের পর রাস্তায় একজন যাত্রী থাকলেও বাস থামিয়ে ওঠাচ্ছেন। লোকালের নামে এখন আরও বড় ধরনের নৈরাজ্য করছেন। আমারও মনে হয়, এভাবে বাস থামিয়ে সিটিং বন্ধের প্রতিশোধ তারা যাত্রীদের ওপর নিচ্ছেন’। অভিযোগ সম্পর্কে শিকড় পরিবহনের ওই বাসের চালকের সহকারী  বলেন,  লোকাল এমনই, সারা রাস্তায় থামবে। আগে সিটিং ছিল, ভালো লাগতো না, এখন লোকাল হলেও সমস্যা। রাস্তায় একজন যাত্রী থাকলেও উঠবো । আনন্দ পরিবহন,বোরাক পরিবহন,রাইদা পরিবহন, ছালছাবিল পরিবহন,রংধনু পরিবহন ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছেন যাত্রীদের কাছ থেকে। তারা বলেন কয়েক দিন এরকম চলবে তার পর আবার মালিক পক্ষ ভাড়া বাড়াবে তাতে সাধারন যাত্রীদের কোন লাভ নাই।

আনন্দ পরিবহন মালিক পিন্টু (পাগলা কাউন্টারে) বলেন এই সকল মন্ত্রীরা আমাদের টাকায় চলে । এক ছাত্র হাফ ভাড়া দিলেও তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন চেকার । পিন্টুর কাছে জানতে চাইলে বলেন আমাদের ইচ্ছা হাফ ভাড়া নেওয়ার কোন নিয়ম আমাদের নাই। সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রীর কথা বলাম হাসি দিয়ে বলেন গাড়ীর ছবি তুলে এবং গাড়ীর নাম্বার মন্ত্রীকে দেন দেখি সে কি? করতে পারে।

তবে রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধের কারণে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে পারবে না মালিকপক্ষ। আর যারা এটি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top