রাজধানীজুড়ে বাসের সংকট, ভাড়া বৃদ্ধি
সরকারি সিদ্ধান্তকে নগরবাসীর কাছে দুঃসহ করে তুলতে সড়কে বাসের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন মালিকরা। স্বাভাবিকের তুলনায় সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর রাজপথে কম সংখ্যক বাস নামিয়েছেন তারা। তাই সিটিং সার্ভিস বন্ধের দ্বিতীয় দিনও প্রথম দিনের মতোই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। যাত্রাবাড়ী থেকে শিকড়,শেখড়, খাজাবাবা, আগের চেয়েও বেশী ভাড়া নিচ্ছে , রাজধানীর শ্যওড়াপাড়ার থেকে গুলশান-১ যাওয়ার জন্যে বাসের অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী রবিন। তিনি বলেন, সাধারণত প্রতি ১০ বা ২০ মিনিট পর পর বিহঙ্গ কোম্পানির একটি বাস আসে। কিন্তু আজ আধ ঘণ্টাতেও বাস নেই। রাজধানীর শ্যামলী বাস স্ট্যান্ডে সকাল সাড়ে নয়টাতেও দেখা গেলো, বাসের জন্য অপেক্ষমান মানুষের ভিড়।মামুন, সোহেল, তারিকুল ইসলাম, সিমা প্রমুখের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে গাবতলী থেকে সদরঘাটের ৮ নং বাস পর্যন্ত অন্যদিনের তুলনায় কম। অথচ ৮ নং এবং ৭ নং বাস সবসময়ই লোকাল। পরিবহন মালিকরা যাত্রীদের যন্ত্রণা দিতেই বাসের সংকট তৈরি করেছে বলে মনে করছেন তারা। মিরপুর ১০ থেকে উত্তরা রুটের বাস জাবালে নূরের চালক কাশেম বলেন, এ ধরনের কোন কিছু ঘটেনি। বাস আগের মতোই আছে। সিটিং বাস না থাকায় যাত্রীদের উঠতে সমস্যা হচ্ছে। তবে দিশারী, ঠিকানা, বিকাশ, ভিআইপি ২৭, বিহঙ্গ, তেতুলিয়া বাসে চলাচলকারী একাধিক যাত্রী ও চালক এবং কন্ডাকটরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকেই বাসের সংখ্যা কম। তবে যার যার কোম্পানির সঠিক বাসের হিসাব দিতে পারেননি তারা। আনন্দ পরিবহন, বোরাক পরিবহন,রাইদা পরিবহন,ছালছাবিল পরিবহন সরকার নিরধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া নিচ্ছে। গুলিস্তান কাউন্টারে ফিরুজ বলেন আনন্দ পরিবহন কোন ছাত্রদের হাফ ভাড়া নাই।আমরা আমাদের নিয়েমে চলি। কে কি বলল তা তে আমাদের যায় না।