মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথার দাম ১১ লাখ রুপি ঘোষণা :যোগেশ ভার্সনে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা কেটে এনে দিতে পারলে ১১ লাখ রুপি পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির যুব সংগঠন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার নেতা যোগেশ ভার্সনে এ ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার সিউড়িতে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ করে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘোষণা দেন যোগেশ ভার্সনে। ভার্সনে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যদের ওপর নির্মমভাবে লাঠি চালিয়েছে বাংলার পুলিশ। যেটা চূড়ান্ত অমানবিক। সিউড়িতে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে অংশগ্রহনকারীরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সমর্থক ছিল না। তারা একটি ধর্মীয় সংগঠনের সদস্য ও হনুমান ভক্ত। তাহলে কেন তাদের ওপর মমতার পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করল, প্রশ্ন করেন ভার্সনে। ভার্সনে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় ইফতার পার্টর আয়োজন করে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের তোষামোদি করেন। অথচ হনুমান ভক্তদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয় কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরস্বতী পূজা, রাম নবমী ও হনুমান জয়ন্তীর মিছিলের অনুমতি দেন না। উল্টো মিছিল করলে লাঠিচার্জ করা হয়, পেটানো হয়। যোগেশ ভার্সনের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবিলম্বে ভার্সনেকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ধরনের মুণ্ডু চাই’-এর রাজনীতি সাতের দশকে দেখা যেত। এখন আবার সেই মুণ্ডু চাইয়ের রাজনীতি শুরু হয়েছে। কুৎসিত কুৎসিত কথা বলছে। আসলে এরা সংবাদমাধ্যমের প্রচারে আসার জন্য এসব বলছে। তাই সংবাদমাধ্যমের উচিত এদের আমল না দেওয়া। গতকাল সকালে পশ্চিমবঙ্গের বীরভুম জেলার সিউড়ির বড়বাগান এলাকায় হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে মিছিল বের করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের একটি ধর্মীয় সংগঠন। এই মিছিলের জন্য ওই সংগঠনটি আগাম কোনো অনুমতি নেয়নি দাবি করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। এরপর মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। মিছিলকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি পুলিশের দিকে ধেয়ে যায় তারা। সে সময় মিছিলকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।