কাশিমপুর কারাগার প্রস্তুত যে কোনো সময় মুফতি হান্নানের ফাঁসি।
হরকাতুল জেহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পর যেকোনো সময় তাঁর ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হতে পারে। এ জন্য কাশিমপুর কারাগারে সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, মুফতি হান্নান এখানের কারাগারে আছেন। তাই আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা এমনিতেই রয়েছে। কয়েকদিন আগে তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আমরা তাঁদের ধরেছিও। তাঁর রায় কখন কার্যকর হবে এটা কারা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। আমরা শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও তাঁর সহযোগী বিপুল গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। এ জন্য দণ্ড কার্যকর করতে কাশিমপুর কারাগারে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি ফাঁসির মহড়া সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না পাওয়ায় কারাবিধি অনুসারে মুফতি হান্নান ও তাঁর সহযোগী বিপুলকে কাশিমপুরে এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসির দণ্ডাদেশ সিলেট কারাগারে কার্যকর করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।