অবশেষে ‘সত্তা’ সারা দেশে মুক্তি
শাকিব খান ও কলকাতার পাওলি দাম অভিনীত ‘সত্তা’ ছবিটি সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে গতকাল শুক্রবার। ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে সঙ্গে আলাপ করেছেন ছবির পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল।
‘সত্তা’ ছবির শুটিং নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। এর পিছনে প্রধান কী কারণ ছিল?
হাসিবুর রেজা কল্লোল : ছবির শুটিংয়ের আগে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ৩৫ দিন শুটিং করব, কিন্তু শুটিং করতে গিয়ে সময় লেগেছে ৫৬ দিন। আড়াই বছরে ৫৬ দিনের শিডিউল নিয়ে আমি ছবির শুটিং করেছি। এর পেছনে একটাই কারণ, শাকিব খান ও পাওলি দাম দুজনই দুই বাংলার ব্যস্ততম অভিনয়শিল্পী। তাঁদের দুজনের একসঙ্গে শিডিউল পাওয়া অনেক কষ্টের কাজ ছিল। শুটিং জটিলতার কারণে অনেকেই ভেবেছিলেন সত্তা মুক্তি পাবে না।
ছবিতে কলকাতার অভিনেত্রী পাওলি দামকে কেন নিলেন?
হাসিবুর রেজা কল্লোল : প্রথমে ছবিটিতে শাকিব খানের বিপরীতে বাংলাদেশের নায়িকা নেওয়ার কথাও আমরা ভেবেছিলাম। তিনজন নায়িকার সঙ্গে কথাও হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাওলি দামকে আমরা নির্বাচন করেছি। আমরা ভেবেছিলাম ছবির শিখা চরিত্রটি পাওলি দাম ভালো করতে পারবেন। ছবির একমাত্র বিদেশি অতিথি হলেন পাওলি। এ ছাড়া ছবির সব শিল্পীই বাংলাদেশি। অন্যদিকে, পাওলি দাম ভারতের হলেও তাঁর ভাষা বাংলা। আমরা কথা বলি এক ভাষাতেই। যা হোক, শিখা চরিত্রটি অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল যেটা পাওলি দাম দারুণভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন। ছবিতে পাওলি দামের চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাই…
হাসিবুর রেজা কল্লোল : ছবিতে পাওলি দাম একজন সংগ্রামী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর চরিত্রের নাম শিখা। জীবিকার তাগিদে সে কখনো রাস্তায় ফুল বিক্রি করে, কখনো কারো প্রেমিকা আবার কখনো পতিতা। যাহোক শিখা চরিত্রটিকে সরাসরি পতিতা বলতে আমি চাই না। শিখার অনেক রূপ দর্শক দেখতে পাবেন। ছবিতে শাকিব খানও সংগ্রামী একজন ছেলে থাকে।
ছবিতে আইটেম গান, ফাইটিং, সব কিছুই আছে। ছবিটি কি পুরোপুরি বাণিজ্যিক?
হাসিবুর রেজা কল্লোল : পরিচালক হিসেবে প্রথমেই আমি বলতে চাই সৃষ্টিশীলতার জায়গা থেকে আমি ছবিটি নির্মাণ করেছি। এই ছবিটি সহজে মানুষ গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই যে, ছবিটি বাণিজ্যিক নয়। এটা একশত ভাগ মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবি।
ছবিটি নিয়ে আপনি কতখানি আশাবাদী?
হাসিবুর রেজা কল্লোল : আমি খুব সফল মানুষ নই, আবার খুব অসফলও নই। ছবিটা হয়তো আরো ভালো বানানো যেত। ছবি দেখার পর আলোচনা ও সমালোচনা তো হবেই। তবে ছবিটা নিয়ে আমি আশাবাদী। দর্শক ভিন্ন কিছু বিনোদন ও গল্প এই ছবিতে খুঁজে পাবেন। ছবিটি প্রেম ও মানবতার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে। ভালোবাসা দিয়েই নেশা থেকে মানুষকে দূরে রাখা সম্ভব। এই ছবি দেখলে সেটা অনেকখানি পরিষ্কার হবে। ছবির গল্প সোহানী হোসেন দারুণ লিখেছেন। ছবির প্রযোজকও সোহানী আপু। ছবির সংলাপ ফেরদৌস হাসান রানা ভাইও খুব যত্ন নিয়ে লিখেছেন।