ট্রলার ডুবিতে দুই শিশু নিখোঁজ রেখেই অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা।
দুই শিশুর খোঁজ না মিললেও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে চালানো অভিযান আজ শনিবার সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ট্রলার ডুবির চারদিন পর আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওবায়দুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন। ইউএনও বলেন, ট্রলার ডুবিতে এখনো দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ শিশুরা হল- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর সুতালড়ি গ্রামের মহসিনের ছয় বছরের ছেলে হাসিব এবং একই উপজেলা পল্লীমঙ্গল বাজার এলাকার বাচ্চুর ছয় মাস বয়সী ছেলে রাহাত। মঙ্গলবার থেকে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। গত চার দিনে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ১৯ জনের মেধ্যে ১০ নারী, পাঁচজন পুরুষ ও দুই শিশুসহ ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে পারাপারের সময় ৮০ জন যাত্রী নিয়ে পানগুছি নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়। মো. ওবায়দুর রহমান আরও বলেন, পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির পর নিখোঁজদের উদ্ধারে সরকারের তিন বাহিনী গত পাঁচদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এছাড়াও স্থানীয়রাও এই কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ যে দুই শিশুকে এখনো পাওয়া যায়নি তাদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করবে।’ ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং ঘাট মালিকদের অব্যবস্থাপনার কারণে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেন ইউএনও। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া নৌবাহিনীর কমান্ডার শাহরিয়ার আকন বলেন, ‘গত পাঁচদিন ধরে সরকারের তিন বাহিনী নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করেছে। নির্ধারিত সময় পার হওয়ায় অভিযান সমাপ্তি টানা হয়েছে। যে শিশু দুটি নিখোঁজ রয়েছে তাদের এখন পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ট্রলার ডুবিতে যারা নিখোঁজ ছিলেন প্রশাসন তাদের তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকা অনুযায়ী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।’ তিনি বলেন, এই অভিযানকে আমরা একটি সফল অভিযান বলতে পারি। নিখোঁজ ১৯ জনের মধ্যে দুটি শিশু ছাড়া ১৭ জনকে আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সরদার মাসুদুর রহমান, মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।