রাজধানীর হাজারীবাগে থাকা ট্যানারি কারখানাগুলো আগামী ৬ এপ্রিলের মধ্যে বন্ধের আদেশ দেন।
রাজধানীর হাজারীবাগে থাকা ট্যানারি কারখানাগুলোর সব কার্যক্রম আগামী ৬ এপ্রিলের মধ্যে বন্ধ করে আদালতকে জানাতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
ট্যানারি কারখানাগুলোকে জরিমানার বিষয়ে রিভিউ আবেদন ও ১৫৪ ট্যানারিকে ৩০ কোটি ৮৫ লাখ জরিমানার আদেশ স্থগিতের বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন আদালত।
আদালতে ট্যানারি মালিকদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ।
আদালতে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমাদের সবকিছু তো এমনি শেষ। আমরা ৬ এপ্রিলের মধ্যে সব ট্যানারি কারখানা ক্লোজ ডাউন করতে যাচ্ছি। আমাদের বকেয়া জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করেন।’
তখন আদালত বলেন, ‘আগে ৬ এপ্রিল সব ক্লোজ ডাউন করে আসেন। তখন বকেয়া জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
গত ১৯ মার্চ ১৫৪ ট্যানারি মালিককে বকেয়া বাবদ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ জরিমানা পরিশোধের আদেশ স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।
এর আগে ২ মার্চ ১৫৪ ট্যানারি কারখানাকে বকেয়া বাবদ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন হাইকোর্টে আবেদন করে।
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাজারীবাগে ট্যানারি প্রতিষ্ঠান চালু রাখায় ১৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছিলেন হাইকোর্ট। গত বছরের ১৮ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ১৬ জুন বিচারপতি সৈয়দ মোহম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ট্যানারি মালিকদের পরিবেশের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রদানের নির্দেশ দেন।
পরে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে।