সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে খুলনা শিশু হাসপাতালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও খুলনা শিশু হাসপাতালের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মিজানুর রহমান উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণে প্রত্যেকেরই কিছু করার আছে। মানুষ মানুষের জন্য। রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে খুলনাতে যে মহৎ কার্যক্রমের সূচনা হলো তার ধারাবাহিকতা যেন অব্যহত থাকে।এ সময় এ কার্যক্রমে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তাদেরকে তিনি সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। স্বাস্থ্যসেবায় বর্তমান সরকারের আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটাতে তিনি চিকিৎসকদের খুলনার স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সম্প্রসারিত করার আহবান জানান।এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিশন লিডার বারবারা এন ফিশার, ডেইলি অবজারভারের ম্যানেজিং এটিডর রোটারিয়ান শওকত হুসাইন, রোটারি ক্লাব অব গুলশান লেকসিটি’র প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ডা. মো. জয়নুল আবেদীন, বিএমএ খুলনা’র সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এবং খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা শিশু হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. মো. কামরুজ্জামান। স্বাগত বক্তৃতা করেন রোটারিয়ান সৈয়দ আবু সাঈদ।প্রধান সার্জন আমেরিকার কার্ল ওসট্রাক এর নেতৃত্বে ২০ জনের চিকিৎসকদল খুলনা শিশু হাসপাতালে সার্জারিতে অংশ নেবেন। ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ বছর খুলনায় প্রায় ১০০জন ব্যক্তিকে এ সেবা দেওয়া হবে।উল্লেখ্য, সার্জারির মাধ্যমে ঠোঁটকাটা-তালুফাটা রোগীদের চেহারায় স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ শুরু করেছে ঢাকায় রোটারি ক্লাব অব গুলশান লেকসিটি। প্রতিবছর সারাদেশে গড়ে প্রায় ১০০জন শিশুকে সার্জারির মাধ্যমে ক্রটি করার উদ্যোগ ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এ বাবদ খরচ হয়ে থাকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। সে হিসেবে প্রতিটি শিশুর সার্জারিতে প্রায় ৫০ হাজার ব্যয় ধরা হয়। সারাদেশের ১৫টি এবং আমেরিকার একটি রোটারি ক্লাবসহ খুলনার ২০টি রোটারি ক্লাব এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে। সার্জারি পরবর্তী রোগীর সাইকোলজিক্যাল, ডেন্টাল ও কথা বলার স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে আরও কিছু চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। পর্যায়ক্রমে এদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা দিতে ইতোমধ্যে গাজীপুর মেডিকেল কলেজে একটি বিভাগ খোলা হয়েছে।
খুলনায় ঠোঁটকাটা-তালুফাটা রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন
Share!