নানান সমস্যার কারণে বিশ্ব নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে মুসলমানরা। কিন্তু এক সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আগামী ৫৩ বছর পর পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা হবে সব থেকে বেশি। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষার বরাত দিয়ে দ্য টেলিগ্রাফের খবরে এমনটাই বলা হয়েছে।বিশ্বখ্যাত সমীক্ষা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার ওই প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, ২০৭০ সালে কেমন হবে বিশ্বের জনসংখ্যার চিত্রটি। সেখানে বলা হয়েছে আগামী ৫০ বছর পরে বিশ্ব মুসলমানদের দখলে যাবে। মার্কিন ওই সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীতে সব থেকে বেশি মানুষ হবে ইসলাম ধর্মাবলম্বী।গত সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়েছে, এখন যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে এই ধারা চলতে থাকলে এ শতাব্দীর শেষের দিকে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর থেকে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি হবে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইউরোপসহ বিশ্বের বহু অঞ্চলে আগামী বছরগুলোতে দ্রুত ইসলাম ধর্মের অনুসারীর লোকের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।প্রতিবেদনে বলা বলছে, গোটা পৃথিবীতেই অন্যান্য ধর্মের তুলনায় দ্রুত হারে বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। অন্য দিকে খ্রিষ্টান জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার যেন প্রায় থমকে রয়েছে। ওই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, খ্রিষ্টানদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণের হার যতটা বেশি, মুসলমানদের ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই বেশি বংশ বৃদ্ধির হার। একজন মুসলমান নারী গড়ে তিনটি শিশু সন্তানের জন্ম দেন। অন্যদের ধর্মের নারীদের ক্ষেত্রে এ হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ।এখন বিশ্বের মোট যুব সমাজের মধ্যে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ২০১০ সালের হিসেবে, ২৩ বছর বয়স্ক যুবকের সংখ্যা মুসলমানদের মধ্যেই বেশি। এর ফলে এই যুবসমাজ বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে। আর এতেই জনসংখ্যা অন্য সব ধর্মের অনুসারীদের তুলনায় আগামী বছরগুলোতে মুসলিম জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাড়বে।পিউ রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১০ থেকে ২০৫ এই ৩০ বছরের মধ্যে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়বে ৭৩ শতাংশ, যা ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হবে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন। অন্য দিকে, খ্রিষ্টান জনসংখ্যা বাড়বে ৩৫ শতাংশ।২০১০ সালে বিশ্বে মোট খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন। ২০৫০ সালে সেটা হবে ২ দশমিক ৯২ বিলিয়ন। ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশই হবে ইসলাম ধর্মাবলম্বী।একই সময়ের মধ্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার হেরফের হবে না। জৈন ও হিন্দু জনসংখ্যা অল্প হলেও বাড়বে বলে পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষায় বলা হয়েছে।
Share!