চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানকারি বড় জাহাজ বা মাদার ভ্যাসেল থেকে খোলাপণ্য খালাসে নিয়োজিত অনেক লাইটার জাহাজ এক সময় দিনের পর দিন অলস বসে থাকলেও এখন চিত্র উল্টো।
প্রয়োজনের তুলনায় লাইটার মিলছে কম। ফলে বহির্নোঙরে ধীরে পণ্য খালাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানিকারকরা। তবে এজন্য দেশের নানান ঘাটে বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিয়ে প্রায় ৭শ লাইটার জাহাজ আটকে থাকাকে দায়ী করছেন লাইটার মালিকরা।
তাই সহসা এসব জাহাজ খালি করার দাবী তাদের। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হয় লাইটার জাহাজের। কিন্তু চাহিদা অনুসারে মিলছেনা সেই জাহাজ। গেল কয়েকমাস ধরে চলছে লাইটার জাহাজ সংকট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশে এগারশো লাইটার জাহাজ থাকলেও এখন পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত আছে মাত্র দেড়শ। এতে করে ভোগান্তি বেড়েছে আমদানিকারকদের। লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারি সংস্থা ডব্লিউটিসি বলছে, নানা কারণে বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পণ্য বোঝাই প্রায় ৭শ জাহাজ এক থেকে দেড় মাস ধরে দেশের বিভিন্ন ঘাটে আটকে আছে।
এতে নতুন করে বুকিংয়ের জন্য জাহাজ মিলছেনা। তাছাড়া যেসব জাহাজ এখন পণ্য পরিবহন করছে সেগুলোর খালাসও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। কারণ বাংলাবাজার-মাঝিরঘাটের সবগুলো ঘাটই এখন ব্যস্ত। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে আসা খোলাপণ্যের ভাগই খালাস করে লাইটার জাহাজ। আবার এসব জাহাজই এখান থেকে পণ্য নিয়ে যায় দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।