রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে হরতালের সময় শাহবাগে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাংবাদিকরা। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) কাওরান বাজারে সার্ক ফোয়ারায় সাংবাদিকদের এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) শাহবাগে এটিএন নিউজের দুই সাংবাদিককে নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারি) শাহবাগে সাংবাদিকদের এক মানববন্ধন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।শাহবাগে মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা কোনও বাহিনীর বিরুদ্ধে নই। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার চাই। নামকাওয়াস্তে বরখাস্ত নয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এসময় আন্দোলনকারীরা ২ ফেব্রুয়ারির মানবন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘এ পর্যন্ত যত সাংবাদিক নির্যাতন হয়েছে, তাদের সবার বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারার সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।’
এটিএন নিউজের ওই দুই সাংবাদিককে মারধরের প্রতিবাদে আজ শনিবার শাহবাগে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। এতে সব ধরনের গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত বিএফইউজে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখান করে বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করি। তাকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য পুলিশ-প্রশাসনকে সাংবাদিক নির্যাতনে উৎসাহ দেবে।’ বুলবুল আরও বলেন, ‘এর আগেও সাংবাদিকদের ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে। সেগুলোর বিচার হয়নি। সব সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ মুন্নী সাহা বলেন, ‘একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে সাংবাদিক নির্যাতন করলে পদোন্নতি পাওয়া যায়। যদি এমনটি বলা হয়, তাহলে আমরা আমাদের ক্যামেরা, বুম সবকিছু রেখে এসে দাঁড়াব। তারা এসে আমাদের পিটিয়ে পদোন্নতি নিয়ে যাক। এটা কোনও কথা হতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ অন্যায়। সাংবাদিকদের নির্যাতনের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে রাজধানীতে হরতালপালনকারী দুই জনকে আটক করে পুলিশ। এই ফুটেজ নেওয়ার সময় এটিএন নিউজের ক্যামেরা পারসন আব্দুল আলীম ও রিপোর্টার এহসান বিন দিদারকে শাহবাগ থানার সামনে মারধর করে পুলিশের ১৫-২০ জন সদস্য। এই ঘটনার পর শাহবাগ এএসআই এরশাদ মণ্ডলকে চিহ্নিত করে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগ আমলে নিয়েছে পুলিশ।
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন
Share!